মা হওয়ার পরও দ্রুততমা, ৩৫-এ ১০০ মিটারে রেকর্ড সুপার মম শেলির

মা হওয়ার পরও দ্রুততমা, ৩৫-এ ১০০ মিটারে রেকর্ড সুপার মম শেলির

2b5a222a580fedc87347c88fe6236e95

ওরেগন: এক সন্তানের মা৷ বয়স ৩৫ এর কোঠায়৷ সংসারের বিস্তর দায়িত্ব৷ কিন্তু, কোনও কিছুই তাঁর গতি রোধ করতে পারেনি৷ মাতৃত্বের দায়িত্ব সামলেও সেরার সেরা শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস। বিশ্ব মিটের দ্রুততমার শিরোপা অর্জন করলেন জামাইকার এই কিংবদন্তী অ্যাথলিট। 

আরও পড়ুন- বাংলা দলের দায়িত্বে আসছেন লক্ষ্মী! বোলিং কোচ হতে আগ্রহী দিন্দা

ওরিগনে অনুষ্ঠিত মহিলাদের ১০০ মিটারে সেরা ৩৫ বছরের শেলি৷ মাত্র ১০.৬৭ সেকেন্ডে দৌড় সম্পূর্ণ করেন তিনি। কিন্তু, এই সাফল্যের রহস্য কী? শেলির কথায়, ‘আমি পেশাদার অ্যাথলিট। সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি। সেই কারণেই ৩৫ বছর বয়সেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। অনেকে আমার বয়স নিয়ে কটাক্ষ, তাচ্ছিল্য করেছিলেন। সন্তান হওয়ার পর নাকি আর ট্র্যাকে নামা যায় না। আমি সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে পেরেছি। গ্যালারিতে বসে আমার দৌড় উপভোগ করেছে সন্তান ও স্বামী। ওঁদের সামনে আমার এই সাফল্য এক অন্য অনূভূতি!’

ভারতীয় সময় অনুযায়ী  তখন  রবিবার রাত৷  মেয়েদের ১০০ মিটারের দৌড় শুরুর আগে শেলি নয়, বরং দর্শকদের নজর ছিল বিশ্বমঞ্চে দাপিয়ে বেড়ানো থম্পসন হেরার দিকে৷ মনে করা হয়েছিল বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাকে ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নারের ৩৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন থম্পসন। কিন্তু তেমনটা ঘটল না৷ পদক ছিনিয়ে নিলেন উসেইন বোল্টের দেশের কিংবদন্তি মহিলা অ্যাথলিট শেলি৷ মাত্র ১০.৬৭ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করার পর শেলি বলেন, ‘আমি আরও দ্রুত দৌড়নোর ক্ষমতা রাখি। নিজের দক্ষতার উপর ভরসা রয়েছে। এখনও দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’

নিজের সাফল্যের পাশাপাশি শেলি গর্বিত দেশের সহ অ্যাথলিটদের নিয়েও। কারণ, মহিলাদের ১০০ মিটারে প্রথম তিনটি পদকই এসেছে জামাইকার ঝুলিতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে প্রথমবার এমন সাফল্য ধরা দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই দেশে। যেভাবে পুরুষদের ১০০ মিটারে সেরা তিনটি পদকই ছিনিয়ে নিয়েছে আমেরিকা৷ সেভাবেই মহিলাদের ইভেন্টে তিনটি পদক জিতে নজির গড়েছে জামাইকা৷ রুপো ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন যথাক্রমে শেরিকা জ্যাকসন (১০.৭৩ সেকেন্ড) ও টম্পসন হেরা (১০.৮১ সেকেন্ড)। টোকিও অলিম্পিকসে সোনা হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা বিশ্ব মিটে মিটিয়ে নিলেন শেলি। টোকির ট্র্যাকে মাত্র ০.১৩ সেকেন্ডের জন্য দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন তিনি৷ যদিও বেজিং ও লন্ডন অলিম্পিকসে দ্রুততমার সম্মান রয়েছে তাঁর শিয়রেই৷ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে শেলির মোট পদক সংখ্যা পাঁচ।