চাকরির করুন হাল, পিওন-চালক পদে আবেদন পিএইডি-এমবিএ-আইন পাশ যুবকদের!

চাকরির করুন হাল, পিওন-চালক পদে আবেদন পিএইডি-এমবিএ-আইন পাশ যুবকদের!

9e2f2e969d0723e69d5be8cac7135749

ভোপাল:  রাজ্যে কর্মসংস্থানের ভয়ঙ্কর চিত্র! সরকারি চাকরির জন্য হাহাকার। শিক্ষিত মেধাবীরাও চাকরি না পেয়ে ঘুরছে পথে পথে৷ এমনই এক করুন চিত্র ফুটে উঠল মধ্যপ্রদেশে৷ পিওন, গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষীর জন্য শূন্যপদ ছিল মাত্র ১৫৷ কিন্তু আবেদনপত্র জমা পড়ল ১১ হাজার৷ পিওন পদে চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি৷ সেখানে আবেদন জমা দিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং এমনকী আইন পাশ করা প্রার্থীরাও৷ 

আরও পড়ুন- মিড ডে মিলে টিকটিকি! খাবার খেয়ে হাসপাতালে ৮০ জন পড়ুয়া

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে পিওন, গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার৷ শনিবার ও রবিবার ছিল নিয়োগ পরীক্ষা৷ কাজ পেতে ভিড় জমান প্রায় ১১ হাজার বেকার যুবক-যুবতী৷ শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তর প্রদেশ থেকেও কাজের খোঁজে হাজির হন অনেক চাকরিপ্রার্থী৷ চাকরির আশা নিয়ে হাজির হওয়া এক যুবক জানান, তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক৷ কিন্তু চাকরি না পেয়ে পিওন পদের জন্যেই আবেদন জানিয়েছেন। এমনকী পিএইচডি করা বেশ কিছু প্রার্থীও পিওনের চাকরি পেতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন৷  চাকরির লাইনে দাঁড়ানো আইন পাশ করা এক যুবক জানান, তিনি বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় বসবেন৷ কিন্তু এখন হাতে কোনও কাজ নেই৷ তাই গাড়ির চালকের পদে আবেদন করেছেন। আইন পাশ করা ওই যুবকের কথায়, “টাকার অভাব৷ বই কেনার টাকাও হাতে নেই৷ ভাবলাম এখানে চাকরি পেয়ে গেলে যদি কিছুটা টাকার সমস্যা মেটে।”

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চাকরি প্রার্থীদের লম্বা লাইন দেখে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সাম্প্রতিক বক্তৃতা৷ দিন কয়েক আগেই একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “প্রতি বছর এক লক্ষ যুবক-যুবতীকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার৷ দীর্ঘ দিন ফাঁকা পড়ে থাকা পদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখা হবে না। সকলেই চায় সরকারি চাকরি করতে৷ কিন্তু সত্যিটা হল, প্রত্যেক পড়ুয়াকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।” কিন্তু রাজ্যে চাকরির পরিসংখ্যান আর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে তা যেন স্পষ্ট হয়ে গেল৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *