জাল ডিগ্রি মামলায় অভিষেককে তলব আদালতের

নয়াদিল্লি: এবার জাল ডিগ্রি মামলায় তৃণমূল সাংসদকে তলব করল দিল্লির বিশেষ আদালত৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাল ডিগ্রির অভিযোগ তুলে আইনজীবী সার্থক চাতুরভেদির দায়ের করা মামলা ভিত্তিতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদকে আদালতের সম্মুখীন হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই৷ অতিরিক্ত

জাল ডিগ্রি মামলায় অভিষেককে তলব আদালতের

নয়াদিল্লি: এবার জাল ডিগ্রি মামলায় তৃণমূল সাংসদকে তলব করল দিল্লির বিশেষ আদালত৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাল ডিগ্রির অভিযোগ তুলে আইনজীবী সার্থক চাতুরভেদির দায়ের করা মামলা ভিত্তিতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদকে আদালতের সম্মুখীন হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই৷

অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় মেজিস্ট্রেট সমর বিশাল বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে৷ ফলে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১২৫ এ ধারায়, জনপ্রতিনিধি আইনে, কমিশন অফ অফেন্স (ভুয়ো হলফনামা জমা দেওয়া) নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷”

এর আগে লোকসভা নির্বাচন পর্বে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের ডিগ্রি নিয়ে ‘অসততা’র নজির রাখার অভিযোগ তোলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷ ২০১৪ সালে দেওয়া হলফনামার সঙ্গে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বাম নেতা৷ গত ২ মে সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ তোলেন, হফনামায় দেওয়া তথ্য গোপন করেছেন তিনি৷

অভিষেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘অভিষেক নিজের দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, আইআইপিএম থেকে তিনি এমবিএ করেছেন৷ ২০০৮ সালে আইআইপিএম দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, তারা কোনও ডিগ্রি দেয় না৷ ২০১৪ সালে হাইকোর্ট আইআইপিএমকে জরিমানার নির্দেশ দেয়৷  এরপরও সেই ডিগ্রিকে ব্যবহার অসততার সামিল৷

হলফনামায় ফারাক প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘অভিষেক হলফনামায় বলেছেন, তাঁর কোনও বাড়ি নেই৷ কিন্তু সিইএসসিতে সিকিওরিটি ডিপোজিট জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ যদি বাড়িই না থাকে, তাহলে তিনি সিকিওরিটি ডিপোজিট জমা দিলেন কী ভাবে?’’

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন কমিশনে হলফনামা পেশ করে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ জানান অভিষেক৷ লোকসভা নির্বাচনে সমনোনয়নপত্র পেশ করে অভিষেক কমিশনে দেওয়া হলফনামায় জানান, তাঁর নামে কোনও বাড়ি নেই। ২০১৩-১৪ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৫০ লক্ষ ৩ হাজার ১৩০ টাকা। নগদ অর্থ ৯২,৫০০ টাকা।

জাল ডিগ্রি মামলায় অভিষেককে তলব আদালতেরস্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৫১ লক্ষ ৬১ হাজার ১৫০ টাকা। স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ ৮৭,৩০০ টাকা৷ এছাড়া ১৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৮১ টাকার লোগ্নি রয়েছে৷ অভিষেকের কাছে সোনা হয়েছে ৩০ গ্রাম। ৬৫৮ গ্রাম সোনা রয়েছে স্ত্রীর কাছে৷ ৩ লক্ষ টাকার পেন্টিংসের মালিক অভিষেক৷ তাঁর নামে কোনও মামলা বা এফআইআর নেই৷ তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী থাইল্যান্ডের নাগরিক হলেও সেদেশে তাঁর কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই৷

কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় গত পাঁচ বছরে কী হারে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে তাও জানিয়েছেন অভিষেক। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে বার্ষিক আয় ছিল ৩৬ লাখ টাকা। সেটাই বেড়ে ৭৫ লাখ টাকা হয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় অভিষেক মোট সম্পত্তি জানিয়েছিলেন ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ২৭২ টাকা। সেটা কমে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *