নয়াদিল্লি: বাড়তে বাড়তে দেশের করোনা সংক্রমণ সেই আগের মতো লাগামছাড়ার দিকে চলে যাচ্ছে। নয়া প্রজাতি ওমিক্রনও হু হু করে বৃদ্ধি করছে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে ভারতের দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে ব্যাপক হারে উদ্বেগ বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত সাত দিনে দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩১ শতাংশ! গত মঙ্গল যেখানে দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৬ হাজারের ঘরে, সেখানে আজ আক্রান্তের সংখ্যা টপকে গিয়েছে ৩৩ হাজার। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন।
তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭৫০। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১১,৮৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে স্বস্তির বিষয়, এতকিছুর মধ্যেও দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা কমেছে। আজ ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে স্বস্তি দিয়ে বাড়ছে দৈনিক সুস্থতার হারও। এদিকে, করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দেশ জুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় হয়েছে ১ হাজার ৭০০ জন। ওমিক্রন আক্রান্তের দিক দিয়েও শীর্ষ স্থানে মহারাষ্ট্র। সেই রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫১০। এরপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১।
এই আতঙ্কের আবহেই আজ থেকে শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ৷ ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কো-উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া৷ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য দেশজুড়ে কোউইন অ্যাপে ৬.৩৫ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর নাম নথিভুক্ত করেছে৷ প্রাপ্তবয়স্করা একাধিক টিকা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকছে না। কারণ আমাদের দেশে আপাতত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। তবে জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন খনও পর্যন্ত টিকাকরণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়নি৷ ফলে কোভ্যাক্সিন ছাড়া ছোটদের আর অন্য কোনও টিকা দেওয়া যাবে না আপাতত৷