কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর ওপর পড়েছে শাস্তির কোপ। এই অবস্থায় কার্যত অন্ধকারে চলে গিয়েছে দেশের ফুটবল ভবিষ্যৎ। আবার কবে খেলতে নীল জার্সি গায়ে খেলতে পারবে সুনীলরা? অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের কী হবে? এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপ খেলা আদৌ হবে? এই সব প্রশ্ন ইতিউতি। ওদিকে বাংলার দুই প্রধানের বিদেশি সই নিয়েও ধোঁয়াশা। তবে সমাধান আছে। তার জন্য মানতে হবে দুটি শর্ত।
আরও পড়ুন- গোড়ালির হাড়ে চিড়, সিন্ধু ছিটকে গেলেন ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে
ফিফা দুটি শর্ত দিয়েছে। এক, কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে। দুই, সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) হাতে পুরো দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। অর্থাৎ করতে হবে নির্বাচন। তা হলেই সমস্যার পূর্ণ সমাধান। এক কথায়, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে, তত তাড়াতাড়ি আলোয় ফিরে আসবে ভারতীয় ফুটবল। উল্লেখ্য, ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ জেরেই ভারতের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। ফিফা-র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এখন কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স এআইএফএফ-এর ক্ষমতাধীন৷ যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্মের দেখভাল শুরু করবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।’
এখন আবার ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের অন্দরে অন্য প্রশ্ন বিদেশি সই নিয়ে। ইতিমধ্যেই যারা ঘোষিত বিদেশি তাঁদের আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র নিয়ে ডামাডোল তৈরি হয়েছে। যে বিদেশিরা আগে ভারতে খেলেছেন তাঁদের সমস্যা নয়। কিন্তু যারা আগে ভারতে খেলেননি, এই পরিস্থিতিতে তাঁরা আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র পাবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। এটিকে’র অতটা সমস্যা না হলেও সমস্যা ইস্টবেঙ্গলের। কারণ তাঁদের আপাতত সই করানো তিন বিদেশি দেশে খেলেছেন। কিন্তু নতুন দুই ফুটবলার কারালাম্বোস কিরিয়াকু ও এলিয়ান্দ্রোকে নিয়ে চাপ।