গালাগাল দিন, মত বদলাবে না! জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়াতে অনড় বাম বিধায়ক

কলকাতা: রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম-কংগ্রসকে যৌথভাবে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, সেই আহ্বান পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম৷ কিন্তু, এবার দলের অবস্থান থেকে একধাপ এগিয়ে তন্ময় ভট্টাচার্য মনে করেন, বাংলা থেকে আরএসএস, বিজেপির আগ্রাসী কর্মসূচির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দরকারে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে তাঁর আপত্তি নেই৷ কারণ রাজনীতি ও অস্পৃশ্যতা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়৷ এই

গালাগাল দিন, মত বদলাবে না! জ্যোতিপ্রিয়র পাশে দাঁড়াতে অনড় বাম বিধায়ক

কলকাতা: রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম-কংগ্রসকে যৌথভাবে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, সেই আহ্বান পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছে সিপিএম৷ কিন্তু, এবার দলের অবস্থান থেকে একধাপ এগিয়ে তন্ময় ভট্টাচার্য মনে করেন, বাংলা থেকে আরএসএস, বিজেপির আগ্রাসী কর্মসূচির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দরকারে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে তাঁর আপত্তি নেই৷ কারণ রাজনীতি ও অস্পৃশ্যতা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়৷ এই দুইয়ের অবস্থানও ভিন্ন৷

বাম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য মনে করেন, জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে কিছু লোক কাউকে যদি গণপিটুনি দেয়, তখন সেই আক্রান্ত মানুষটিকে রক্ষা করতে তিনি এগিয়ে যাবেন৷ তখন যদি সেখানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একই কাজে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাঁর পাশে থেকেই তিনি সেই কাজ করবেন৷ জানান, এ রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী তৃণমূল৷ গত কয়েক বছরে রাজ্যে আরএসএসের শাখা ১২০ থেকে বেড়ে ১২০০-এ পৌঁছতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ কিন্তু, এদের রুখতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া বিষয়েও সওয়াল করেন তিনি৷

এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, যারা আমার মুখ থেকে কোনো কথা না শুনে কেবল একটা রিপোর্টাজ এর ভিত্তিতে নানান মন্তব্য করেছেন, আমি তাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা অশ্লীল শব্দবাক্য ব্যবহার করেছেন তাদেরকে অবশ্য উপেক্ষাই করছি। এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। আমি বলেছি, যদি কখনও এমন হয় যে আমি মধ্যমগ্রাম মোড় দিয়ে যেতে গিয়ে দেখলাম, কিছু লোক জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে একজন মানুষকে মারছে, আমিতো তার প্রতিবাদ করব, আক্রান্ত মানুষটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করব। যেহেতু তৃণমূল এর জেলা দপ্তর মধ্যমগ্রামে, যদি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সেখানে এসে একই কাজ করেন আমি কি চলে আসব? বা আমাকে দেখলে তিনি চলে যাবেন। দুটোই অপরাধ হবে। রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতা বলে কিছু হয় না। ইস্যু ঠিক করে দেয় কখন কোনটা সঠিক কর্তব্য। ভুল বলেছি কি? এমনকি একথাও বলেছি যদি আমেরিকার মদতে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে, দেশরক্ষার যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, কেউ কি এটা বলবেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী তাই এই যুদ্ধের বিরোধিতা করব। সেটাও ভুলই হবে। চাইলে এখনও গালাগাল দিন। মত বদলাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =