নয়াদিল্লি: পঞ্জাবের ভাতিন্দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনায় এখনও অস্বস্তিতে পঞ্জাব সরকার। সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্য পঞ্জাব সরকারকে দায়ী করে আর্জি দাখিল হয়েছে, যার শুনানিও হয়েছে। আগেই আদালতে দাবি করা হয়েছিল যে, পঞ্জাবে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জায় পড়তে পারে দেশ। এখন জানা গেল, মোদীর নিরাপত্তা-চ্যুতির তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন হবে। তদন্ত প্যানেলের চেয়ারপার্সন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কমিটিতে বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র ছাড়াও থাকবেন এনআইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল, চণ্ডীগড় পুলিশের প্রধান, পঞ্জাব পুলিশের এডিজি (নিরাপত্তা) এবং পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে তাঁদের বলেই নির্দেশ। কী ভাবে প্রধান্মন্ত্রীর নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটল, এই ঘটনার নেপথ্যে কে রয়েছে, আবার এই ধরণের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে কিনা, তাই খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, পঞ্জাবের ঘটনার জন্য পঞ্জাব সরকার এবং পুলিশ দু’জনেই দায়ি। সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারত। এর কারণেই বিশ্ব মহলে ভারতের নাম খারাপ হত, লজ্জায় পড়তে হত দেশবাসীকে। তবে ওই শুনানিতেই পঞ্জাব সরকারের তরফে জানান হয়েছিল, তারাও এই ঘটনার তদন্ত চায়।
উল্লেখ্য, ভাতিন্দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে পড়ে প্রায় ২০ মিনিটের জন্য। বিজেপি পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছে প্রথম থেকেই। তবে গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি জানিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু তিনি কৃষকদের ওপর লাঠি চালাতে পারতেন না। এক কথায়, তিনি তাঁর এবং তাঁর সরকারের ওপর ওঠা যাবতীয় দোষ ঝেড়ে ফেলেছেন।