বিদায়বেলায় দুঃখ-সুখের মুহূর্ত, কান্নাভেজা হাসি নিয়ে টেনিস ছাড়লেন রজার

বিদায়বেলায় দুঃখ-সুখের মুহূর্ত, কান্নাভেজা হাসি নিয়ে টেনিস ছাড়লেন রজার

লন্ডন: টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার কথা গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন রজার ফেডেরার। জানিয়েছিলেন লেভার কাপেই শেষ বার প্রতিযোগিতামূলক টেনিস খেলবেন। সেই খেলাও শেষ হল। প্রতিযোগিতামূলক টেনিস কোর্ট থেকে চিরতরে বিদায় নিলেন রজার। শেষ হয়ে গেল আধুনিক টেনিসের একটা গোটা অধ্যায়। লন টেনিস র‍্যাকেট হাতে আর নামবেন না ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।

আরও পড়ুন- আর হাসাবেন না তিনি, ভক্তদের কাঁদিয়ে পঞ্চভূতে বিলীন রাজু

জীবনের শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নাদালের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়েছে। কিন্তু ম্যাচ জিততে পারেননি ফেডেরার। শুক্রবার লেভার কাপের ডাবলস ম্যাচে আমেরিকার জ্যাক সক এবং ফ্রান্সেস টিয়াফো জুটির বিরুদ্ধে ফেডেরার-নাদাল হেরে গিয়েছেন। যদিও এই নিয়ে খুব একতা দুঃখ পাবে না তাঁর অনুরাগীরা কারণ এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি কষ্ট দিচ্ছে তাদের ‘রাজার’ আর কোর্টে না নামার বিষয়টা। রজার নিজেও বিষণ্ণ ছিলেন। নিজের ইচ্ছায় অবসর নিচ্ছেন, তাও যেন তিনি ব্যাপারটি মানতে পারছে না। চোখে জল, মুখে হাসি দেখা গিয়েছে তাঁর। এ যেন এক অন্য মুহূর্তে টেনিস বিশ্বের জন্য।

শেষ ম্যাচ শেষে স্ত্রীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন ফেডেরার। স্ত্রীর পরে দুই ছেলে, দুই মেয়ে, বাবা, মা’কে জড়িয়ে ধরেন। পরিবারের পরে সতীর্থ নোভাক জোকোভিচ, রাফায়েল নাদালরাও এসে জড়িয়ে ধরেন ‘রাজা’কে। কিন্তু আবেগ কিছুতেই কমে না, উলটে তা বাড়তেই থাকে। যারা এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে তাদের সবার চোখেই জল। অর্থাৎ সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতাতেই হার্দিককে চুমু! পাকিস্তানের হারে উচ্ছ্বাস আফগানদের

প্রসঙ্গত, ছ’বার এটিপি ট্যুর চ্যাম্পিয়ন ‘রাজা’ ছ’বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, এক বার ফ্রেঞ্চ ওপেন, আট বার উইম্বলডন এবং পাঁচ বার ইউএস ওপেন জিতেছেন। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ডাবলসে সোনা জেতেন। সিঙ্গলসে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে রুপো জয় করেন। ২০১৪ সালে সুইৎজারল্যান্ডের হয়ে জেতেন ডেভিস কাপ। এছাড়াও বিশ্বের ১ নম্বর হয়েছেন একাধিক বার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + fifteen =