কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মনোনীত হয়নি পশ্চিমবঙ্গের ‘নেতাজি’ ট্যাবলো। আর সেই নিয়ে এখন বিস্তর বিতর্ক। আবার একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। মনোনীত না হওয়া রাজ্যের প্রস্তাবিত নেতাজি সংক্রান্ত ট্যাবলো কলকাতায় রাজ্য সরকারের আয়োজিত সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই বিষয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় কোনও নেতা বা মন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এখন এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ‘সস্তার রাজনীতি’ হচ্ছে বলে তোপ দাগলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে মুখ খোলেননি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, ট্যাবলো বাছাই করা হয়েছে পূর্ব নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে। তাই বাংলার ‘নেতাজি’ ট্যাবলো বাদ পড়া একেবারে ‘কাকতালীয়’ ব্যাপার। এই বিষয় নিয়ে সস্তার রাজনীতি হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন নির্মলা। কিন্তু এই ব্যাখ্যা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায় একদমই স্পষ্ট নয় যে ঠিক কোন নিয়ম বা বাছাই প্রক্রিয়া মেনে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু এই ইস্যুতে জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সরকার বা প্রধানমন্ত্রী পদ নেয় না। পাশাপাশি, কুচকাওয়াজের সময় সীমিত থাকায় সব রাজ্যের ট্যাবলোকে মনোনীত করা যায়নি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার আগে জানিয়ে দিয়েছে যে এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা ২৩ জানুয়ারি থেকে হবে। এতদিন সাধারণতন্ত্র দিবসের সূচনা হত ২৪ জানুয়ারি থেকে৷ নেতাজিকে সম্মান জানিয়ে তা আরও একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ অন্যদিকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবার কলকাতায় সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের থিম হচ্ছে নেতাজি এবং আইএনএ। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন থেকে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা পরিকল্পনা থাকলেও করোনার কারণে তাতে কাটছাঁট করা হচ্ছে।