এনআরসে ডাক্তার পেটানোদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? ফের উঠল প্রশ্ন

কলকাতা: এনআরস কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন ও তদন্ত পরিবর্তী পরিস্থিতি কী? তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন পথে? ডিজি বীরেন্দ্র’র সঙ্গে বৈঠক করে তা সরাসরি জানতে চাইলেন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের ৮ জন প্রতিনিধি দল৷ চিকিৎসকদের অভিযোগ, জামিন পরিবর্তী সময়ে কড়া ধারায় মামলা দেওয়া হলেও মামলা বর্তামান হাল তারা জানতে পারছেন না৷ এই নিয়ে উদ্বোগ প্রকাশ করেন হাসপাতালের নিরাপত্তা

এনআরসে ডাক্তার পেটানোদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? ফের উঠল প্রশ্ন

কলকাতা: এনআরস কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন ও তদন্ত পরিবর্তী পরিস্থিতি কী? তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন পথে? ডিজি বীরেন্দ্র’র সঙ্গে বৈঠক করে তা সরাসরি জানতে চাইলেন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের ৮ জন প্রতিনিধি দল৷ চিকিৎসকদের অভিযোগ, জামিন পরিবর্তী সময়ে কড়া ধারায় মামলা দেওয়া হলেও মামলা বর্তামান হাল তারা জানতে পারছেন না৷ এই নিয়ে উদ্বোগ প্রকাশ করেন

হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা জানতে আজ শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের ৮ জন প্রতিনিধি ভবানী ভবনে যান ডিজি বীরেন্দ্র’র সঙ্গে দেখা করতে৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য৷ প্রায় ৪৫ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে৷ বৈঠক শেষে ডিজি জানান, মিটিং সদর্থক৷ তিনি পড়ুয়াদের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন৷ দ্রুত সেগুলি বাস্তবায়িত করা হবে৷
অন্য দিকে পড়ুয়ারাও জানিয়েছে, তাঁরাও বৈঠক থেকে খুশি৷ তবে পুলিশ সব জায়গায় কাজে তত্পর নয়৷ যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে, তাদের পক্ষে ভাল৷ এদিন এনআরস কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন ও তদন্ত পরিবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল৷

এনআরএস-কাণ্ডে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তার পেটানো হোতাদের জামিল মিলল মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই৷ পয়লা জুলাই ডাক্তার পিটিয়ে ধৃত পাঁচ অভিযুক্তরে জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে শিয়ালদহ আদালত৷ মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মিললের নির্দেশ আদালতের৷

পয়লা জুলাই ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখেন৷ কিন্তু, ২০ দিনের মধ্যে মামলার অগ্রগতি না দেখে অভিযুক্তদের পাঁচ জনকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের নির্দেশ দেন বলে আদলাত সূত্রে খবর৷ দু’হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃতদের জামিন দেয় শিয়ালদহ আদালত৷ কিন্তু, এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডাক্তার পেটানোর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়৷ জামিন অযোগ্য ধারা মামলা করা হলেও মামলার অগ্রগতি না থাকায় জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে গুরুত্ব মামলায় ২০ দিনেও অগ্রগতি করতে পারল না পুলিশ? যে ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা লাটে তুলে দিয়েছিল৷ তার পরও কীভাবে অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়ে গেল মাত্র ২০ দিনের মধ্যে?

গত ১০ জুন এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর ৮৪-এর এক রোগীর৷ চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস৷ ট্রাক ভর্তি লোক এসে জুনিয়র ডাক্তারদের পিটিয়ে চম্পট দেয়৷ মারপিট হয় রোগী ও জুনিয়র ডাক্তারের মধ্যে৷ অশান্তির মাঝে মাথায় আঘাত লাগে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের৷ ক্ষোভে বিদ্রোহে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকেরা৷ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়৷ টানা এক সপ্তাহ ধরে লাটে ওঠে বাংলার চিকিৎসা পরিষেবা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ধৃতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার আশ্বাসে জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার পরই তদন্তের অগ্রগতি না দেখে অভিযুক্তদের পাঁচ জনকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের নির্দেশ দেন বলে আদলাত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 1 =