নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতি যে কতটা প্রয়োজন এবং সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অবস্থা ঠিক কোন জায়গায় সেটা গত ২ বছর ধরে বোঝা যাচ্ছে খুব ভাল করেই। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অনেক সমস্যার সঙ্গে রয়েছে ওষুধের দামের সমস্যা। আজ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দেশের জন সাধারণ তাই তাকিয়ে রয়েছে সেই বাজেটের দিকে এবং আশা করছে যাতে ওষুধের দাম কমে। কিন্তু আদতে তা কমবে কি? এটাই বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- বাজেট পেশের আগে সাবধানী নির্মলা, বড় চ্যালেঞ্জের সামনে
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছিল ১৩৭ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য মহল দাবি করছে যে, চলতি বছর সেই বরাদ্দ যেন আরও ৩ শতাংশ মতো বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি দেশীয় চিকিৎসা ক্ষেত্রে এগোনোর জন্য পরিকল্পিত গবেষণা এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দও একটা বড় বিষয়। করোনা পরিস্থিতির মাঝেই একাধিক ওষুধের দাম বেড়েছিল, যা নিয়ে চরমভাবে চিন্তা বেড়েছে জন সাধারণের। বাজেটে এই দিকে আলাদা করে আলোকপাত করা হয় কিনা তাই দেখার, কারণ বর্তমানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জোর দেওয়া কতটা প্রয়োজনীয় তা আলাদা করে সরকারকে বোঝাতে হবে না। একই সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তিতে চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামোর উন্নতি, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি আমদানি করার ক্ষেত্রে নজর, সবই দিতে হবে এই বাজেটে। তাই দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থান কোথায় থাকছে তাও একাংশ নির্ভর করবে এই বাজেটে।
সব দিকে নজর দিলে বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সামনে বেশ কয়েকটিই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মুল্যবৃদ্ধি ঠেকানো, বেকারত্ব সমস্যা দূর করা, রাজকোষের ঘাটতিকে সামলানো, আর্থিক বৃদ্ধি আরও বাড়ানো, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে আর্থিক অসাম্য দূর করা। আরও একটি দিক রয়েছে যা হল, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’র ভাতা, এবং কর ছাড়ের বিষয়টি। বাড়ি থেকে কাজ করায় কর্মীদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ বিল আগের চেয়ে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। ২০২০ সালের আগে এমন কিছু পরিস্থিতি ছিল না। তাই চাকরিজীবীদের একটি অংশ মনে করে যে, তাদের কোম্পানি যদি ভাতা না দিতে পারে তাহলে সরকারের কিছু কর ছাড় দেওয়া উচিত।