তৃণমূল গরিব পার্টি, ভোট এলেই জ্বর এসে যায়: মমতা

কলকাতা: আরও এক দফায় বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে এবার দলের অন্দরের কাঠামো ঢেলে সাজাতে নয়া বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ নজরুল মঞ্চে বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক থেকে দলের জনসংযোগ বাড়াতে গুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা দলনেত্রী৷ বিজেপি মোকাবিলায় তৃণমূলস্তর থেকে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্য বেঁঁধে দিলেন বার্তা মমতার৷ তবে, দলের

তৃণমূল গরিব পার্টি, ভোট এলেই জ্বর এসে যায়: মমতা

কলকাতা: আরও এক দফায় বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে এবার দলের অন্দরের কাঠামো ঢেলে সাজাতে নয়া বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ নজরুল মঞ্চে বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক থেকে দলের জনসংযোগ বাড়াতে গুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা দলনেত্রী৷ বিজেপি মোকাবিলায় তৃণমূলস্তর থেকে দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্য বেঁঁধে দিলেন বার্তা মমতার৷ তবে, দলের হাল ধরতে গুরুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণার পাশিপাশি বেতন ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের জল্পনা ওড়ালেন মমতা৷ তৃণমূল গরিব পার্টি বলেও উষ্মা প্রকাশ করেন৷

বলেন, ‘‘দল কোনও হোলটাইমার (সর্বসময়ের কর্মী) রাখার পয়সা নেই আমাদের৷ আমাদের পার্টি খুব গরিব পার্টি৷ আমি সবসময়ই ইলেকট্রন রিফর্মসের কথা বলি৷ বলি তার কারণ, যাতে স্টেট ফান্ডিং পাওয়া যেতে পারে৷ সব পার্টি তো আর বিজেপির মত বড় লোক পার্টি নয়৷ সব পার্টি আবার অনেক বড়লোক পার্টির মতো নয়৷ সুতরাং আমাদের ইলেকশনের টাকা খরচ করতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঘাম ঝরাতে হয়। একটা ইলেকশন আসলেই আমাদের প্রায়   ম্যালেরিয়ার মতো কম্পো দিয়ে জ্বর আসে৷ সুতরাং আমাদের অনেক কষ্ট করেই করতে হয়৷ 

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘কাজেই ইলেকশনটা চালানোই যাঁদের কাছে খুব কষ্টসাধ্য, তাঁদের পক্ষে হোলটাইমার বা পার্ট টাইমার কর্মী রাখা ভাবতেও আমরা পারি না৷ এটা বিজেপি করে৷ এটা সিপিএম পার্টি করে। তাদের অনেক ফান্ড আছে। তাদের অনেক ফিক্স ডিপোজিট আছে। সেটা আমাদের নেই।’’

ইঙ্গিতটা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গত মাসেই নজরুলমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি চান না, দু’একটি পুরসভার জন্য নতুন করে ভোট করিয়ে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফলতে৷ সমস্ত পুরভোট এক সঙ্গে করানোর দাবিও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইঙ্গিতের পর রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রশাসকদের মেয়াদ আরও বাড়াতে বিল এনেছে রাজ্য সরকারের৷ ১৭ পুরসভার প্রশাসনের মেয়াদ আরও একবছর বৃদ্ধি করতে বিধানসভার অধিবেশনে বিল পেশ সরকারের৷ নির্বাচনে না জিতেও পুরসভার মেয়ারম্যান কিংবা মেয়র হওয়া যাবে বলেও আনা হয়েছে পুর আইনে সংশোধন৷ ফলে, আগামী দিনে যে ১৭ পুরসভায় ভোট যে হচ্ছে না, তাই কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মমতা৷ এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল৷ বিরোধী শিবিরের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তৃণমূল যদি গরিব পার্টি হয়ে থাকে, তাহলে ভোটের রণকৌশল তৈরি করতে পেশাদার প্রশান্ত কিশোরকে কীভাবে নিয়োগ করতে পারল তৃণমূল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =