‘দিদিকে’ দেওয়া তথ্য কোন কাজে লাগাবে তৃণমূল? সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা

কলকাতা: জনতার অভাব-অভিযোগ জানতে ‘দিদিকে বলো’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খুলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে জনতার অভাব-অভিযোগ জানাতে একটি টোল-ফ্রি নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছেন নেত্রী৷ নেত্রীর চালু করা ওয়েব পোর্টালের পথ চলা শুরু হতে না হতেই অভাব-অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে৷ কিন্তু, জানেন কি, ‘দিদিকে বলো’ ওয়েবসাইটে দেওয়া

f336707ec6915b4e82ba6465dcb56f2a

‘দিদিকে’ দেওয়া তথ্য কোন কাজে লাগাবে তৃণমূল? সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা

কলকাতা: জনতার অভাব-অভিযোগ জানতে ‘দিদিকে বলো’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খুলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে জনতার অভাব-অভিযোগ জানাতে একটি টোল-ফ্রি নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করেছেন নেত্রী৷ নেত্রীর চালু করা ওয়েব পোর্টালের পথ চলা শুরু হতে না হতেই অভাব-অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করেছে৷ কিন্তু, জানেন কি, ‘দিদিকে বলো’ ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য নিয়ে কী করবে তৃণমূল শিবির? ওয়েবসাইটেই দেওয়া হয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

‘দিদিকে’ দেওয়া তথ্য কোন কাজে লাগাবে তৃণমূল? সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা‘দিদিকে বলো ডট কমে’র PRIVACY POLICY-তে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পোর্টালে ‘অভিযোগ, মতামত, অন্যান্য’ কিছু জানাতে দিতে হবে নাম, বয়স, লিঙ্গ, ফোন নম্বর, হোয়াটস্যাপ নম্বর, জেলা ও বিধানসভার নাম৷ ওয়েবসাইটের PRIVACY POLICY জানানো হয়েছে, দল চাইলে ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া আপনার তথ্য ব্যবহার করতে পারবে৷ এসএমএস, ফোন, হোয়াটস্যাপে বার্তা পাঠাতে পারবে৷ ফলে, একবার যদি আপনি ওই ওয়েবসাইটে কোনও তথ্য দিয়ে দেন, তাহলে তা সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে দলের কিংবা সরকারি প্রকল্পের প্রচার সংক্রান্ত বার্তা পেতে পারেন৷ আপনি না চাইলেও আপনার ফেনে আসতে পারে দলীয় কিংবা সরকারি প্রচার৷ আশঙ্কা প্রকাশ সাইবার বিশেষজ্ঞদের৷ এমনকী, ৯১৩৭০৯১৩৭০ ফোন করলেও সেই তথ্য সংরক্ষিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে৷ যারা অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁদের +912240524553 নম্বর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় অভিযোগের সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আসছে ফোন৷  (এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই দেখা যাবে, তথ্য ব্যববারের শর্ত- https://www.didikebolo.com/privacy-policy.html)

‘দিদিকে’ দেওয়া তথ্য কোন কাজে লাগাবে তৃণমূল? সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কাসাইবার বিশেষজ্ঞদের ধারনা, বিজেপি ঠিক যেমন মিস কলের পরিষেবা বা নমো অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পরে তা ভোটের আগে প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই বাংলার মানুষের বিধানসভা কেন্দ্রওয়ারী তথ্যভাণ্ডার গড়তে চাইছে তৃণমূল৷ ওয়েবসাইটের PRIVACY POLICY অন্তত তাই জানিয়েছে৷ অভিযোগ, মতামত নেওয়ার নামে এই বাংলার মানুষের তথ্যভাণ্ডার গড়তে পারে তৃণমূল৷ তাতে ভোটের আগে সেই তথ্য ব্যবহার করে লাগাতার প্রচার চালানো হতে পারে বলে খবর৷ কিন্তু, সেই তথ্য পরবর্তী সময়ে অন্য কোনও সংস্থার কাছে চলে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? কেননা, ভোটের আগে জনতার ডেটা ব্যাংক ও সেলস কোম্পানিগুলিও চড়া দামে এই সমস্ত তথ্য কিনে থাকে৷ যাতে তাঁদের পণ্যের প্রচার ও ভোটের প্রচার করা যায়৷ এক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটবে না তো? প্রশ্ন তুলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ যদিও এই তথ্য বেহাত হবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে৷

এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য সরকারের তো জন অভিযোগ দপ্তর আছে৷ সেখানে অভিযোগ জানিয়ে তো কোনও সমস্যার সুরাহা হয় না৷ মানুষের অভিযোগ শুনে সমাধানের ইচ্ছা থাকলে জন অভিযোগ দপ্তরকে অধিক তৎপর হলেই তো ভালো হতো৷ তাহলে দিদিকে বলোর প্রয়োজনীয়তা কোথায়? তাছাড়া নেত্রী যদি প্রতিশ্রুতি দিতেন, তাঁকে জানানো সমস্যার সমাধান করবেন, তাহলেও হতো! অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা না হলে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পরতে পার বলে আমি মনে করি!’’

সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘আপনার মতামত বা সমস্যা থাকলে আমাকে ফোন করুন ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে৷ www.didikebolo.com-এ লগইন করেও আপনার মতামত কিংবা অভিযোগ জানাতে পারেন৷ যতটুকু পারব, সমাধান করা চেষ্টা করব৷’’ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগের হাতিয়ারকে কাজে লাগিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা করালেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *