কারও ল্যান্ডিং গিয়ার খরাপ, কারই নেই ইঞ্জিন! এয়ার ইন্ডিয়ার অকেজো বিমানের ভবিষ্যৎ কী?

কারও ল্যান্ডিং গিয়ার খরাপ, কারই নেই ইঞ্জিন! এয়ার ইন্ডিয়ার অকেজো বিমানের ভবিষ্যৎ কী?

0a9a5c672c1265529e198527ac386fe0

নয়াদিল্লি: দেনার দায়ে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া বেঁচে দিয়েছে সরকার৷ এখন মহারাজার দায়িত্ব টাটা গোষ্ঠীর হাতে৷ কিন্তু লোকসানের দরুণ এয়ার ইন্ডিয়ার বসিয়ে দেওয়া অকেজো, আধা অকেজো বিমানগুলির ভবিষ্যৎ কী? কোনও বিমানের ইঞ্জিন নেই, কারও আবার নেই ল্যান্ডিং গিয়ার৷ তাদের অবস্থা ঠিক যেন ডানা ভাঙা পাখির মতো৷ নতুন করে মেরামতির পর তাদের কেউ ওড়াবে কী? 

আরও পড়ুন- অনুমতি ছাড়া পোস্টার লাগালেই কড়া শাস্তি, পুরভোটের আগে উল্লেখযোগ্য রায় হাই কোর্টের

অর্থাভাবের দরুণ এতদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বহু বিমানকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়নি। অকেজো বিমানগুলির মধ্যে কোনওটার ইঞ্জিন বদলাতে হবে, কারও আবার প্রয়োজন নতুন ল্যান্ডিং গিয়ার। কিন্তু সমস্যা হল যে-সকল সংস্থা কয়েক দশক ধরে বিমানের ইঞ্জিন বা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আসছিল, তাদের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।  সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে টাটা গোষ্ঠী এয়ার ইন্ডিয়া কেনার পরেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের বকেয়া মিটিতে শুরু করেছে। কর্মীদের বকেয়া বেতনের একাংশও ইতিমধ্যে তারা মিটিয়ে দিয়েছে৷ 

জানা গিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে ৩১৯, ৩২০ এবং ৩২১— এই তিন ধরনের যাত্রীবাহী বিমান ওড়াত এয়ার ইন্ডিয়া। এর মধ্যে এয়ারবাস-৩১৯ ছিল ২০টি। তার মধ্যে ডানা মেলে উড়ছে মাত্র ৭টি৷ বাকিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে৷ আবার এয়ারবাস-৩২০ ছিল ৩৬টি। তার মধ্যে ৩২টি উড়ছে। ৪টি বসে৷ এয়ারবাস-৩২১ ছিল ১৮টি। তার মধ্যে ১০টি যাত্রী বহন করছে। বাকি ৮টি বিগড়ে গিয়েছে৷

বসে যাওয়া বিমানগুলির বেশিরভাগেরই পুরো ইঞ্জিন বদলে ফেলা প্রয়োজন। এখ প্রশ্ন হল, টাটা গোষ্ঠী কিএই বসে যাওয়া বিমানগুলিতে নতুন ইঞ্জিন লাগাবে? কারণ এখন ‘নিও ইঞ্জিন’-এর রমরমা। এই ইঞ্জিন ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করে। দেশ-বিদেশের অধিকাংশ উড়ান সংস্থাই এখন নিও ইঞ্জিন-বিশিষ্ট বিমান কিনতে বা ভাড়া নিতে আগ্রহী৷ বলে রাখা ভালো  এয়ার ইন্ডিয়ার যে ৩২টি এয়ারবাস-৩২০ ডমেস্টিক বিমান চলছে, তার মধ্যে  ২৭টিতেই নিও ইঞ্জিন বসানো রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্তার কথায়, “বসে যাওয়া বিমানগুলিতে নিও ইঞ্জিন বসাতে পারলে তবেই লাভ হবে।’’ কিন্তু সমস্যা হল এই নিও ইঞ্জিন পাওয়াটাই মুশকিল৷ নিও ইঞ্জিনের জন্য এক একটি বিমান সংস্থাকে দেড় থেকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷ তাহলে এই দেড়-দুই বছর কী বসেই থাকবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি? নাকি অন্য ইঞ্জিন বসিয়েই আকাশে ডানা মেলবে? উত্তর দেবে সময়৷