নয়াদিল্লি: পুরোদস্তুর যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে৷ সর্বশক্তি নিয়ে আক্রমণ হেনেছে রাশিয়া৷ এই অবস্থায় ভারতের কাছ থেকে রাজনৈতিক সহযোগিতা চাইলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি৷ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি৷ ফোনালাপের কথা নিজেই টুইট করে জানান জেলেনস্কি৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে৷ তাঁকে রুশ আগ্রাসনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবগত করেছি। এক লক্ষেরও বেশি রুশ সেনা আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। তারা আমাদের নাগরিকদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করছে। একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ আমি তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আগ্রাসনকারীকে প্রতিরোধের আবেদন রেখেছি।’
আরও পড়ুন- আজকের দিনেই এয়ার স্ট্রাইক! কী হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার পর
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুশ আক্রমণের বিরোধিতা করে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়৷ এই প্রস্তাবের সমর্থনে ১১টি দেশ ভোটদান করে৷ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ভেটো প্রয়োগ করে রাশিয়া৷ কিন্তু আমেরিকা এবং তার সহযোগী রাষ্ট্রগুলির আনা ওই প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে ভারত৷ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি চিন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করে রাশিয়া৷ এর পরেই আমেরিকা-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নানা মন্তব্য করলেও ভারত নিরপেক্ষ থেকেছে৷ শান্তি প্রস্তাব ছাড়া এ বিষয়ে কোনও কথা বলেনি নয়াদিল্লি৷ এরই মধ্যে ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে৷ তাঁর দাবি ছিল, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে মোদী যদি পুতিনের কাছে আবেদন জানান, তাহলে তিনি নিশ্চয় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাবেন৷
ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের সেই দাবি মেনে পুতিনকে ফোনও করেছিলেন মোদী। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। মোদী পুতিনকে বলেন, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়৷ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ যদিও তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি৷ আগ্রাসন থামায়নি পুতিনের সেনা৷ বরং, ইউক্রেনের উপর হামলা আরও তীব্র হয়েছে৷ এই অবস্থায় এবার সরাসরি মোদীকে ফোন করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের। তবে ভারত কোনও ভাবেই রাশিয়ার জোড়াল বিরোধিতা করবে না বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>