কলকাতা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বলি ভারতীয় পড়ুয়া৷ খারকিভে রুশ বাহিনীর গোলা বর্ষণে নিহত ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগৌধর৷ ছেলেকে হারিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নবীনের বাবা৷
আরও পড়ুন- কিয়েভে আর ভারতীয় নেই, জানাল কেন্দ্র! ২৬ টি বিমান যাচ্ছে উদ্ধারকাজে
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় নবীনের বাবা বলেন, ‘‘পিইউসি-তে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল নবীন। এর পরেও রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পায়নি৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘এদেশে মেডিক্যালে আসন পেতে একজন ছাত্রকে কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হয়। সেখানে কম খরচে বিদেশ থেকে ডিগ্রি পাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সেখানকার শিক্ষা পরিকাঠামোও উন্নত।” নবীনের বাবার কথায়, ডোনেশন অত্যন্ত খারাপ বিষয়৷
গতকালই বিদেশমন্ত্রক নবীনের মৃত্যুর খবর জানায়। নবীনের বাবাকে ফোন করে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, ইউক্রেন থেকে মৃতদেহ আনার চেষ্টা করছে ভারত সরকার৷
উল্লেখ্য, খারকিভের মেডিক্যাল কলেজে চতুর্থ বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছিলেন নবীন। দুর্ঘটনার আগে খারকিভ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ছিল নবীনের কাছে। কিন্তু, কর্নাটকের ওই পড়ুয়া চেয়েছিলেন, আগে জুনিয়ার ডাক্তাররা সংকট থেকে বেড়িয়া আসুক। তারপরেই বাড়ি ফিরবেন তিনি৷ কিন্তু, অপরকে রক্ষা করার এই সিদ্ধান্তই কাল হল৷ রুশ বোমা প্রাণ কেড়ে নিল এই কৃতী ছাত্রের।
নবীনের বাবা জানান, সন্তানকে হারানোর মাত্র দু’দিন আগেই ভিডিয়ো কলে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। ছেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ”এখনও পর্যন্ত কতজন পড়ুয়া খারকিভ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে?” জবাবে নবীন বলেছিলেন, ১৫-২০ জন সিনিয়র দেশে ফিরতে পেরেছেন। সেটা শুনে ছেলেকে আশ্বাস দিয়েছিলেন বাবা। ছেলেকে বলেছিলেন, ”কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। তোমাকে দ্রুত খারকিভ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। তুমি খারকিভ শহর থেকে যে করেই হোক ৪০-৫০ কিলোমিটার দূরে কোথাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করো। ওই শহরের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।” কিন্তু খারকিভ থেকে বেরতে পারেননি নবীন৷ দেশেও ফেরা হল না তাঁর৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>