ইউক্রেন দেখে শিক্ষা? দেশের ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানাতে চান মাহিন্দ্রা

ইউক্রেন দেখে শিক্ষা? দেশের ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানাতে চান মাহিন্দ্রা

মুম্বই: রাশিয়া আক্রমণ করেছে ইউক্রেনকে। প্রায় ৮ দিন ধরে চলছে এই যুদ্ধ। ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেক ভারতীয় সেখান আটকে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেকে ফিরে এলেও অধিকাংশ ভারতীয় পড়ুয়া দেশে ফিরতে পারেনি। তার মধ্যে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। জানা গিয়েছে, যারা ইউক্রেন গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতীয় পড়ুয়াই ডাক্তারি পড়ছিলেন। এই থেকেই একটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে যে, কেন এতো ভারতীয় ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান? বা তার থেকেও বড় কথা, অন্যান্য দেশেও প্রচুর ভারতীয় যান ইউক্রেন ছাড়া। পড়াশুনার কারণ বা চাকরিসূত্রে। কিন্তু ইউক্রেনে আটকে পড়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য মন খারাপ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রার। তিনি তাদের জন্য কিছু করতে চাইছেন।

আরও পড়ুন- জ্বলছে ইউক্রেন, অবিরাম সাইরেনের শব্দ, চার শহরের দখল নিল রাশিয়া

ইউক্রেনে যে পরিস্থিতি ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ারা দেখেছেন তা যাতে আর ভবিষ্যতে না দেখতে হয় তার জন্য দেশের মাটিতে মাহিন্দ্রা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ডাক্তারি পড়ানোর প্রতিষ্ঠান শুরু করার কথা ভাবছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। তাঁর ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ডাক্তারি পড়ানোর কোনও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যায় কিনা সেই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন তিনি। আজই একটি টুইট করেছেন তিনি এই ইস্যুতে। জানিয়েছেন, ভারতে ডাক্তারি পড়ার প্রতিষ্ঠান যে চাহিদার তুলনায় এত কম তা তিনি জানতেন না। তাই এবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথা ভেবেই এই ধরণের পদক্ষেপ তিনি নিতে চলেছেন। তবে রয়েছে আরও সমস্যা। ইউক্রেনে মৃত নবীনের বাবার অভিযোগ ছিল, ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েও দেশের কোনও জায়গায় ভর্তি হতে পারেনি তাঁর ছেলে। এখানে ডোনেশন থেকে শুরু করে কোটা, সব রকমের সমস্যা রয়েছে, তাই সে না পারতে ইউক্রেন গিয়েছিল। এটাও যে বড় কারণ পড়ুয়াদের দেশ ছাড়ার সেটা অস্বীকার করা যায় না।

এখনও অনেক পড়ুয়াই দেশে ফিরতে পারেনি ইউক্রেন থেকে। অনেকে সেই দেশের সীমান্তে বা পড়শি দেশে আটকে রয়েছে। তবে চরম তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে অক্ষত অবস্থায় ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনাই এই অপারেশনের মূল লক্ষ্য৷ ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ১৯টি বিমান ময়দানে নেমেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − eleven =