নয়াদিল্লি: দীর্ঘ অনেক মাস পর স্বস্তি বহাল থাকছে দেশে। কোভিড আবহে সংক্রমণের পরিসংখ্যান দিন দিন বদলাচ্ছে। কিন্তু আজ কিছুটা উঠল সংক্রমণ পারদ। আজ দেশের দৈনিক মৃত্যু ১৫০-র নীচে নেমেছে। অন্যদিক সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও নেমে গিয়েছে ৫০ হাজারের নীচে। সব মিলিয়ে আজকের তথ্য দেখে অনেকটাই চিন্তা মুক্ত হতে পেরেছে দেশবাসী।
আরও পড়ুন- ‘দোকান খুললেই মারব’! পদ্ম বিধায়কের দোকানে পড়ল হুমকি পোস্টার
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাকটিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯৬২ জন। যা মোট করোনা আক্রান্তের ০.১১ শতাংশ। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৫ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৬৬ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৭ হাজার ৪১৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ১৭৯ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫৫ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ১০৩ ডোজ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৬৯ শতাংশ।
আপাতত দেশের কোভিড পরিস্থিতি ফের নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও তার বদল হতে যে বেশি সময় লাগবে না তা অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই ওমিক্রন প্রজাতি। আগে যে প্রজাতি ছিল, তার থেকেও বেশি সংক্রামক প্রজাতি এখন ধরা পড়েছে। তাই নিয়ে এখন চর্চা। এবার জানা গেল, কমপক্ষে দুই রকম করোনা ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে এবার! তার মানে ভাইরাসের উপদ্রপ ওমিক্রনেই শেষ হবে না। অনুমান ওমিক্রন নিজের রূপ সম্পূর্ণ বদলে নতুন চেহারা নেবে। আগের এবং বর্তমান ওমিক্রন থেকে তা আলাদা হবে এবং ভয় এখানেই। ডেল্টা প্রজাতিকে টপকে যেমন ওমিক্রন ‘ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ হয়ে গিয়েছিল, এক্ষেত্রেও সেই একই জিনিস হতে চলেছে।