সারদা-কাণ্ডে নয়া মোড়৷ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অত্রি ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের৷ রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব এই মুহূর্তে পর্যটন দপ্তরের সচিব৷ জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে নব মহাকরণে গিয়ে অত্রি ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ সারদাকাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর৷ সারদাকাণ্ডের সময় অত্রি ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব৷ সেই সুবাদে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর৷
সিবিআই সূত্রে খবর, সরদাকর্তা সুদীপ্ত সেনার হাতে ছিল একাধিক সংবাদমাধ্যম৷ টিভি চ্যালেন থেকে শুরু করে সংবাদপত্রের ব্যবসা ফাঁদেন সুদীপ্ত৷ সারদার সংবাদ মাধ্যমে রাজ্য সরকার কত টাকা বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত সরদার সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও চুক্তি হয়েছিল কি না, তা জানতে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর৷
সূত্রের খবর, যেহেতু অত্রি ভট্টাচার্য সেই সময় তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ছিলেন, ফলে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন বাবদ সারদার সংবাদ মাধ্যমে চুক্তিতে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তাও জানতে চাওয়া হয়৷ চুক্তি হলে বিজ্ঞপন বাবদ কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর৷ বিজ্ঞপন পেতে সারদার সংবাদমাধ্যম পরিবর্তে কোনও সহযোগিতা করেছিল কি না তাও জানতে চাওয়া হয় বলে খবর৷ আজ, দু’ঘণ্টা নব মহাকরণে অত্রি ভট্টাচার্য জেরা করা হয় বলে খবর৷
২০১৭ সালে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হন অত্রি ভট্টাচার্য৷ ওই সময় রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি৷ নবান্নের প্রশাসনিক মহলে প্রবাদ ছিল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মেজাজের সঙ্গে অত্রি খুব ভালোই খাপ খাইয়ে চলতে পারেন৷ সেই কারণেই তাঁকে সরাসরি মুখ্য সচিবের পদে বসানো হয়৷’’ ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার অত্রি ভট্টাচার্য একাধিক জেলার জেলা শাসকের পদে ছিলেন৷ তিনি রাজ্যের জলসম্পদ ও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কাজ সামলান৷ তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে তাঁর পরিচয় বাড়তে থাকে৷ যদিও চলতি লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন৷ পরে তাঁকে পাঠানো হয় পর্যটন দপ্তরের সচিব পদে৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সরিয়ে দেওয়া আধিকাদের পুনর্বহাল করলেও অত্রিকে ফেরাননি মমতা৷ সেই নিয়ে শুরু হয় নানান জল্পনা৷