নয়াদিল্লি: গত পাঁচ বছরে দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার পরিমাণ৷ এর জন্য দায়ী বেকারত্ব৷ সোমবার এই নিয়ে লোকসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করল শ্রম মন্ত্রক৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, আত্মহত্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি শাসিত বহু রাজ্যই৷
আরও পড়ুন- হিজাব বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়, মামলা খারিজ কর্ণাটক হাইকোর্টে
সোমবার লোকসভায় বেকারত্বের হার নিয়ে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। সেই তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান জাতীয় বেকারত্বের হারের চেয়ে এই হার অনেক বেশি রয়েছে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে৷ আর বেকারত্বের জেরেই বেড়ে চলেছে আত্মহত্যার মতো ঘটনা৷ সোমবার সামগ্রিক ভাবে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে বেকারত্বের জেরে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২ হাজার ২৯৮টি। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয় ২ হাজার ৪০৪টি। ২০১৮ ২ হাজার ৭৪১টি এবং ২০১৯ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২ হাজার ৮৫১টি। আর ২০২০ সালে বেকারত্বের কারণে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ছাড়িয়ে যায় ৩ হাজারের গন্ডি৷ ওই বছর বেকারত্বের জেরে মোট ৩ হাজার ৫৪৮টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ২০২০ সালের মার্চ মাসেই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার।
২০২০ সালে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন ২২৭ জন৷ অসমে ২৩৪টি। গুজরাতে ২২৯টি। আর বেকারত্বের কারণে ৭২০টি আত্মহত্যার ঘটনায় দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিল বিজেপি শাসিত কর্ণাটক। শ্রমমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথস অ্যান্ড সুইসাইডস ইন ইন্ডিয়া’ (এডিএসআই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে৷
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে শ্রমমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানান, পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে অনুসারে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বেকারত্বের জাতীয় হার ছিল ৪.৮ শতাংশ। কিন্তু, ওই অর্থ বর্ষে বিজেপি শাসিত অসম, গোয়া, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে বেকারত্বের হার ছিল জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। সংসদে দাঁড়িয়ে শ্রমমন্ত্রী যখন বেকারত্ব হ্রাসের কথা বলছেন, তখন পর্যটনমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষ কাজ হারান। করোনা অতিমারীর আগে এ রাজ্যে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল প্রায় চার কোটি মানুষ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>