কলকাতা: এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ ফের কেন্দ্রকে বিঁধে বিদ্রোহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তৃণমূল যুব ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মোয় রোডের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানিয়ে দিলেন তিনি জেলে গেলে ভাববেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য লড়াই করছেন৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের এজেন্সিগুলোকে কাঠগোড়ায় তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘এজেন্সি নাম করে এমএলএদের ডাকছে৷ এমপিকে ডাকছে৷ মন্ত্রীকে ডাকছে৷ দলকে বিরক্ত করছে৷ এই করে একটা পার্টি চলতে পারে না৷ আর এই করে কতদিন দেশ চলতে পারে কতদিন৷ বুঝুন ২০১৪ সালে ইলেকশন হয়েছে একটা৷ ২০১৯ সালে একটা৷ বাংলায় ২০১৬ সালে একটা বিধানসভা হয়েছে৷ ১৪ সালে ইলেকশন হয়ে গিয়েছে৷ ১৬ সালে ইলেকশন হয়ে গিয়েছে৷ ১৯ সালে ইলেকশন হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আবার হেরেও গিয়েছে৷ ১৪ সালের পর ২০১৯ এ চিঠি পাঠাচ্ছে এলেকশন কমিশনকে দিয়ে৷ বলছে, তোমার অ্যাকাউন্টটা ম্যাচ করছে নাকি৷ পলিটিক্যাল পার্টিকে উঠিয়ে দাও৷ ভেঙে দাও নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে৷ মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে দাও৷ দেশটাকে দখল করে নাও৷ দেশটাকে পরাধীন করে দাও৷ আর কোথায় যাচ্ছ তোমরা? এটা মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে৷ আর এর জন্যই কি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ১৯০ বছর ধরে লড়াই করেছিলেন৷ দেশটাকে পুরো দখল করবে বলে কাউকে টাকা দিয়ে কাউকে এজেন্সির ভয় দেখাচ্ছে৷’’
বলেন, ‘‘বাংলায় বলল রাজ্যসভায় মেজরিটি দিতে হবে৷ সব পার্টিকে এজেন্সি দেখিয়ে দেখিয়ে লোকগুলিকে উপকার করল৷ বাংলায় বলছে এটাও নিয়ে নেব৷ কি করে নেবে? ১০৭ জনের নাম নিয়ে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ আরে আমি তো বলি, তুমি আগে সাত জনকে করো৷ তারপর একটা ১০৭ জনকে নিয়ে ভাববে৷ এত সস্তা নয় সবকিছু৷ এত সস্তা নয়৷ বাংলা ওদের চাই৷ কারণ বাংলায় আমরা লড়াই করি৷ আমরা প্রতিবাদ করি৷ আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া যায় না৷’’
মমতার আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই না৷ কোনও এজেন্সিকে ভয় পায় না৷ আর আজ আমার ভাইকে ডাকছে৷ কাল আমায় ডাকবে৷ আমি তাঁর জন্য তৈরি মনে৷ রাখবেন, আমি জেলে যেতে তৈরি৷ কিন্তু বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে মাথা নত করতে রাজি নয়৷ জেলে গেলে ভাবব, আমি স্বাধীনতা সংগ্রাম করছি৷ দেশ আবার পরাধীন হয়ে গিয়েছে৷ এত সস্তা সবকিছু নয়৷ লড়াইটা খুব কঠিন৷’’