আজই আছড়ে পড়বে ‘সিত্রাং’, পিছনে আসবে ‘অশনি’, দুই ঘূর্ণিঝড়ের পার্থক্য কোথায়?

আজই আছড়ে পড়বে ‘সিত্রাং’, পিছনে আসবে ‘অশনি’, দুই ঘূর্ণিঝড়ের পার্থক্য কোথায়?

নয়াদিল্লি:  অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’৷ গতি বাড়িয়ে ক্রমেই ধেয়ে আসছে আন্দামান উপকূলের দিকে৷ তবে পশ্চিবঙ্গের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ পোর্ট ব্লেয়ার হয়ে মায়ানমারের দিকে চলে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়। 

আরও পড়ুন- আছে নতুন তথ্য, তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ অভিষেককে

কিন্তু, এই ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা শেষ হতেই আরও এক নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা আরও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। ওই ঘূর্ণিঝড়েরই নাম ‘অশনি’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর কী নামে অভিহিত হবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল৷ এই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং না অশনি, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধন্দ৷ সেই ধন্দ দূর করে সঠিক তথ্যটি জানালেন বিশিষ্ট ভূতত্ববিদ ড. সুজীব কর৷ তিনি বলেন, ‘‘অশনি এবং সিত্রাং-কে কোনও ভাবেই মেলানো সম্ভব নয়৷ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘূর্ণিঝড়৷ অশনি কবে আছড়ে পড়বে তা এখনও বলা সম্ভব নয়৷ তবে এই নিম্নচাপ চলে যাওয়ার পর  নিরক্ষীয় অঞ্চলে আরও এক নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এবং ওই নিম্নচাপটি তৈরি হলে তার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও৷ সিত্রাং চলে যাওয়ার পর আসবে অশনি৷’’ 

ড. কর আরও বলেন, ‘‘চলতি বছর একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷ গত বছর জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে যে কটি ঘূর্ণিঝড় এসেছে, তার চেয়ে এই বছর অনেক বেশি ঘর্ণিঝড় আসবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দিনদিন ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়বে।’’ তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবাংলার উপর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা এবং বাংলাদেশের উপরে জলবায়ুগত কোনও প্রভাব না থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও অল্প বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোনও কোনও এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে আকাশ। উল্লেখযোগ্য প্রভাব চোখে পড়বে না।” বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঢুকে পড়ায় এই বিচ্ছিন্ন মেধ বা বৃষ্টিপাত হবে৷ 

এদিকে, দিনে হাঁসফাঁস করা গরম অনুভূত হলেও, রাতের দিকে বেশ অনেকটাই নামছে পারদ৷ এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ বলেন,  ‘‘বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের জন্যেই এমনটা ঘটছে। নিম্নচাপের জন্য মাঝে মধ্যে উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কমছে রাতের তাপমাত্রা৷ নিম্নচাপ কাটার পরেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে।” তবে কি আরও চড়বে উষ্ণতার পারদ৷ এ প্রসঙ্গে ড. কর বলেন,  “এ বছর রেকর্ড গরম পড়বে৷ গরম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এপ্রিলে আরও বেশি গরম পড়বে। শুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি৷’’