কৃষ্ণনগর: দলের অন্দরে বিক্ষোভ রুখতে আগেই কড়াবার্তা জারি করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ কর্মীদের শৃঙ্খলা মেনে চলার বিষয়েও দিয়েছিলেন হুঁশিয়ারি৷ কিন্তু, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সভাপতির দেওয়া হুঁশি কার্যত কাজে এল না৷ কর্মীদের চূড়ান্ত বিক্ষোভের মুখে পড়লে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন বঙ্গ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷
শনিবার বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন জয়প্রকাশ মজুমদার৷ করিমপুরে রাজ্য বিজেপির নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় নেতাকর্মীরা৷ উপ-নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে জয়প্রকাশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা৷ বঙ্গ বিজেপির প্রথম শ্রেণির এই নেতার মাসনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ির অভিযোগ ওঠে কর্মীদের মধ্যে৷ মহিলা বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান বলে খবর৷ যদিও, এনিয়ে জয়প্রকাশের কোনও মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি৷ তবে, উপ-নির্বাচনের আগে প্রার্থী ঘিরে দলের অন্দরে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে আসতেই বেশ বিপাকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব৷
গত মঞ্চলবার সদ্য বিজেপিতে নাম লেখানো অন্য দল ছেড়ে আসা নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলার পাঠ দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ ওই দিন নবাগত কর্মীদের বিজেপির কর্মপদ্ধতি শিখে দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্য সভাপতি৷ দলে নতুনদের স্বাগত জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যারা অন্য দল থেকে এসেছেন, তাঁদের বিজেপির কর্মপদ্ধতি প্রথমেই শেখা উচিত৷ তাঁদের অভিজ্ঞতা আমরা পরবর্তীতে কাজে লাগাবো৷’’ এদিন দিলীপ ঘোষ কার্যত বুঝিয়ে দেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সাংগঠনিক পদ তৈরি হবে৷ সেই পদে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়োগ করা হবে৷ নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় তার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন, দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমস্ত কাজই করতে হবে৷ আর তা না হলে তাঁদের জায়গা বিজেপিতে নয়৷ কিন্তু, এদিনের এই ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷