কলকাতা: ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের কথা অনেকেরই মনে আছে৷ টটেনহ্যাম এবং লিভারপুলের ফাইনাল ম্যাচ থমকে গিয়েছিল ফুটবল স্ট্রিকার কিনসে ওলানস্কির কীর্তিতে৷ তাঁর তৎকালীন প্রেমিকের পর্ন সাইটের প্রমোশন করতে তিনি প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঢুকে পড়েছিলেন মাঠের মধ্যিখানে৷ যা দেখে চমকে উঠেছিলেন স্টেডিয়ামের দর্শকরা৷ ওই দিন ওলানস্কির পরনে ছিল স্রেফ কালো রং-এর একটি সুইম সুইট৷ যেখানে স্পষ্ট ছিল তাঁর নিম্নাঙ্গ৷ এই কাণ্ডের জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ পুলিশের হাতে৷ এই ঘটনার চার বছর পর OnlyFans অ্যাকাউন্ট খুললেন সেই লাস্যময়ী কিনসে ওলানস্কি।
আরও পড়ুন-মেসিকে প্রাণনাশের হুমকি, স্ত্রী আন্তোনেল্লার দোকানে ১৪ রাউন্ড গুলি, লিয়োর শহরে হুলস্থূল
২৬ বছরের ওই তরণী আমেরিকার ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে টটেনহ্যাম ও লিভারপুলের ম্যাচে বিঘ্ন ঘটিয়ে শিরোনাম কেড়েছিলেন৷ টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার হ্যারি উইঙ্কস ব্যতীত উভয় পক্ষের খেলোয়াড়রাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন৷ নিরাপত্তারক্ষীরা যখন কিনসেকে স্টেডিয়ামের বাইরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একমাত্র হ্যারিই এই ঘটনাটি বেশ উপভোগ করছিলেন৷ পরে কিনসে স্বীকার করে নেন, তিনি তাঁর তৎকালীন প্রেমিকের পর্ন ওয়েবসাইটের প্রচারের স্বার্থেই এই কাজ করেছিলেন৷ তবে এই ঘটনা ওলানস্কিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেয়৷ ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার্স সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে তিন মিলিয়নেরও বেশি৷
জানুয়ারি মাসের শুরুতেই প্রাপ্তবয়স্কদের সামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওলানস্কি৷ এর দিন কয়েক আগেই ইন্সটাগ্রামে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হয়েছিলেন কিনসি৷ তিবি লিখেছিলেন, আমাকে যা খুশি প্রশ্ন করুন৷ এর ফায়দা তুলে একজন ভক্ত জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর OnlyFans অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। এৎ পর তাঁকে ভ্রু তুলে ঠোঁট পাউট করার আর্জিও জানিয়েছিলেন৷ শুধু তাই নয়, তাঁকে ঘাম ঝরানো খোলামেলা পোশাকে দেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ তাঁরা চান, আবারও ওলানস্কি ধরা দিন বিস্ফোরক পোশাকে৷ তার ভক্তরা বেশ কিছু দিন ধরেই চাইছিলেন অ্যাডাল্ট কনটেন্ট শেয়ারিং সাইট OnlyFans-এর সদস্য হন ওলনস্কি৷ সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে বৈকি৷
তার OnlyFans পেজের বায়োতে লেখা রয়েছে: “Life is living, so why not?’’ আজকাল ওলানস্কি রিয়েল এস্টেট, স্কাইডাইভিং ও সুন্দর সুন্দর গেমের প্রতি আকৃষ্ট৷ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজই এর বড় প্রমাণ৷ সেই সঙ্গে রয়েছে তাঁর ফুটবল দক্ষতাও৷ ড্রিবলিং, শুটিং, কিক-আপ সহ একাধিক কৌশলের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন এই লাস্যময়ী৷ এর পাশাপাশি নিজের ভ্রমণ কাহিনিও শেয়ার করেন এই ফুটবল স্ট্রিকার৷ শেয়ার করেছেন পেরু, গ্যালাপাগোস এবং আইনল্যান্ড ভ্রমণের ছবি৷
কখনও আবার তিনি সাঁতার কেটেছেন মিল মাছের সঙ্গে৷ হেঁটেছেন বিমানরে পাখার উপর দিয়ে, কখনও গা ভাসিয়েছেন জলপ্রপাতে৷ ওলনস্কি যেন এক স্রোতস্বীনি নদী৷ যে চুটিয়ে উপভোগ করে নিজের জীবনকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>