কলকাতা: বিধানসভায় নজিরবিহীন গন্ডগোল৷ এবার পরিবহনমন্ত্রীকে দিকে তেড়ে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক৷ নিয়োগে দুর্নীতির প্রশ্নে মন্ত্রীর তির্যক মন্তব্য ঘিরে বিধানসভার অন্দরে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়৷ শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তেড়ে যান কংগ্রেস বিধায়ক৷ মন্ত্রী-বিধায়কের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হতেই পদক্ষেপ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওয়েলে নেমে এসে দু’জনকে শান্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সতর্ক করে উভয়কে সংযত থাকার বার্তা দেন তিনি৷ প্রশ্নোত্তর পর্বে উভয়ের আচারণ নিয়েও সতর্ক করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বিধানসভা সূত্রের খবর, আজ বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক পরিবহণ দপ্তরের এনবিএসটি নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ সেই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিতে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী৷ পরিবহণমন্ত্রী জানান, কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে৷ আর প্রমাণ করতে না পারলে তিনি অধিবেশনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবেন৷ এরপরই শুভেন্দু অধিকারী বলতে থাকেন, যেভাবে কংগ্রেসের ক্ষয় চলছে তাতে আগামী দিনে মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে৷ কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন৷ পরিবহনমন্ত্রী মন্তব্য ঘিরে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ৷
অভিযোগ, ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় নিজের আসন ছেড়ে রীতিমতো শুভেন্দু অধিকারী দিকে তেড়ে যান৷ অভিযোগ, মন্ত্রীর গায়ে হাত তুললে উদ্যত হয়ে ওঠেন তিনি৷ হাতাহাতি পরিস্থিতি মত ঘটনাও ঘটতে শুরু করে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন৷ ওয়েলে নেমে এসে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন৷ উভয়কে শান্ত হয়ে নিজেদের আসলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানান, প্রশ্নোত্তর পর্বে সকলকে সংগত থাকা উচিত৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধায়কদের সতর্ক করে জানান, তাঁরা যেন বিধানসভার নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন৷ গোটা পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যে বিধানসভা৷ বেশ খানিকক্ষণ থমথমে পরিস্থিতি থাকে বিধানসভা৷