রাজনীতিতে পরকিয়া! পাল্টা ‘বাদরে’র সঙ্গে তুলনা শোভন-বৈশাখীর

কলকাতা: শোভন-বৈশাখীকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার পাল্টা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাদরে’র সঙ্গে তুলনা করলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ বিজেপির জাতীয় পরিষদীয় দলের সদস্য তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাটগড়ায় তুলে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বানরের হাতে তলোয়ার থাকলে যে পরিস্থিতি হয় তাই করছেন

রাজনীতিতে পরকিয়া! পাল্টা ‘বাদরে’র সঙ্গে তুলনা শোভন-বৈশাখীর

কলকাতা: শোভন-বৈশাখীকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার পাল্টা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাদরে’র সঙ্গে তুলনা করলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়৷

বিজেপির জাতীয় পরিষদীয় দলের সদস্য তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাটগড়ায় তুলে মন্তব্য করেছেন, ‘‘বানরের হাতে তলোয়ার থাকলে যে পরিস্থিতি হয় তাই করছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷’’

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আরও মন্তব্য, ‘‘জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য কুরুচিকর৷ আমি দলকে যা বলার বলেছি৷ যথাযোগ্য জায়গায় তা তুলে ধরেছি৷ এভাবে আক্রমণ করা অনৈতিক৷ ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করা হচ্ছে৷’’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে জয়কে কটাক্ষ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে নিজের স্ত্রীকে সম্মান করে পারেন না, তিনি কী করে মহিলাদের সম্মান করবেন৷ আমার মনে হয় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের উচ্চারণের দিকে নজর দেওয়া উচিত৷ ‌জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নমানের ও নোংরা৷’’ জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়ের ছবি বাংলা চলচ্চিত্র ‘অন্ধকার অধ্যায়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য আদতে দলের কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই অরবিন্দ মেনন ও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপিকা৷

রবিবার বর্ধমানের বিজেপির একটি জনসভা থেকে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘বৈশাখী রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ৷ নিজের স্বামীকে ফেলে অন্যের স্বামীকে নিয়ে ঘুরছেন৷ রাজনীতিতে পরকিয়া চলে না৷ সমাজ ভাল চোখে দেখে না৷’’ দেবশ্রীকে দলে ফেরাতে বিজেপি নেতার মন্তব্য, ‘‘আজ শোভন-বৈশাখীর জন্য দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে নেওয়া যাচ্ছে না৷ আমার মনে হয়, দেবশ্রীকে দলে ফেরাতে যদি ওই দু’জনের বাদ দিতে হয়, তাহলে তা করা হোক৷’’

তাঁর আরও দাবি, ‘‘বৈশাখী রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ৷ বৈশাখীকে বাদ দিলে যদি শোভনবাবুকে হারাতে হয়, তা হোক৷ কারণ, রাজনীতির সঙ্গে পরকিয়া এক করলে চলবে না৷ তিনি নিজের স্বামী থাকে ফেলে রেখে অন্যের স্বামীকে নিয়ে ঘুরছেন৷ এই ঘটনা বাংলার মানুষ কিছুতেই মেনে নেবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − ten =