বাংলার বিচারপতিদের ‘হিম্মত’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ!

কলকাতা: এবার রাজ্যের বিচারব্য বস্থাকে সরাসরি আক্রমণ করে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যের বিচারকদের হিম্মত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ৷ বিজেপির রাজ্য বিজেপিকে ক্যালকাটা নিউজের সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, ‘‘আগামী পুরভোট ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী কৌশল নিচ্ছে বিজেপি? ভোট

বাংলার বিচারপতিদের ‘হিম্মত’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ!

কলকাতা: এবার রাজ্যের বিচারব্য বস্থাকে সরাসরি আক্রমণ করে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্যের বিচারকদের হিম্মত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ৷

বিজেপির রাজ্য বিজেপিকে ক্যালকাটা নিউজের সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, ‘‘আগামী পুরভোট ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী কৌশল নিচ্ছে বিজেপি? ভোট করাতে আদালতে যাওয়ার কি ভাবনা রয়েছে বিজেপির?’’ জবাবে বাংলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ৷ ওই চ্যালেনে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়া অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দেখুন আদালতে যাওয়াটা একটা প্রক্রিয়া৷ আইন দিয়ে রাজনীতি হয় না৷ আমি তো আগেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় বলেছিলাম, কোন আদালত নয়৷ লড়াই হবে মাঠে নেমে৷ আদালতে গিয়ে কোন লাভ হয়নি৷ আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে কোনও আদালতের বিচারকের হিম্মত নেই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা জাজমেন্ট দেবেন৷ এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি৷ লোয়ার কোর্ট থেকে হাইকোর্ট, কোনও বিচারকের হিম্মত নেই একটা বেল দেওয়া একটা জাজমেন্ট দেওয়া৷ আজকে সবাই ভয় দেখিয়ে না হলে কিনে রাখা হচ্ছে৷ জুডিশিয়ারিও তার বাইরে নেয়৷ এটা আমার থেকে অরুণাভ ঘোষ বেশি বলেন৷ তিনি একজন জুডিশিয়ারি লোক৷ এটা বাস্তব কথা৷ আদালত থাকবেই৷ সেই সুযোগ আমাদের কাছে আছে৷ আমরা যাব৷ কিন্তু লড়াই হবে মাঠে৷ প্রশ্ন হল পশ্চিমবঙ্গে ভোট হলে মমতা ব্যানার্জি হেরে যাবেন৷’’ (মন্তব্যটি ওই বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগের)

দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ কেননা, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি কখনও বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারেন কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ বিচারকদের ‘হিম্মত’ নিয়ে এভাবে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য আদেও জনপ্রতিনিধিদের মুখে মানায় কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ কেননা মুহূর্তে সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার একমাত্র অবলম্বন দেশের বিচার ব্যবস্থা৷ আর সেই বিচার ব্যবস্থায়কে যদি এভাবে কাঠগড়ায় তুলতে থাকেন জনপ্রতিনিধিরা, তাহলে দেশের মানুষ যাবেন কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =