কলকাতা: রাজীব কুমার জেরা ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়৷ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ উঠে যেতেই রাজিব কুমারের বাড়িতে সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল৷ মিনিট ১৫ রাজীব কুমারের বাড়িতে ছিলেন সিবিআইয়ের একটি দল৷ সূত্রের খবর, তাঁকে না পেয়ে ফিরে যান আধিকারিকরা৷ চলতি বছরের শুরুতে বাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হাজিরার পর আজ নতুন করে এই অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷
সূত্রের খবর, প্রাক্তন সিপিকে রক্ষায় সাদা পোশাকে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা রাজীব কুমারের বাড়ি নীচে জমায়েত করেন৷ বেশ কয়েকজন আধিকারিকরাও সেখানে পৌঁছান৷ জানা গিয়েছে, নোটিশ দিতে আজ রাজিব কুমারের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা৷ সিবিআই রাজীব কুমারকে ডেকে জেরার জন্য চিঠি পাঠাতে পার্কস্ট্রিটের বাড়িতে হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল৷ জানা গিয়েছে, সেখানে তাঁকে না পেয়ে মিনিট ১৫ পর সেখান থেকে ফিরে যান তাঁরা৷ সূত্রের খবর, আগামীকাল তাঁকে হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে৷ আতাত রাজীব কুমার ছুটিতে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ ফলে, তাঁর বাড়িতে নোটিস দিতে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷
Kolkata: Central Bureau of Investigation (CBI) teams enters Office of the Deputy Commissioner of Police, South Division, which also includes the residence of former Police Commissioner Rajeev Kumar, after the Calcutta High Court lifted stay on protection from arrest given to him pic.twitter.com/HoN8U1PGWC
— ANI (@ANI) September 13, 2019
আজ কলকাতা হাইকোর্টে মামলার রায়ে ঘোষণার সময় বিচারপতি জানান, রাজীব কুমার বারবার তদন্ত রোপুটেশনের কথা বলছেন৷ কিন্তু, তাঁকে গ্রেফতার বা তদন্তে সহযোগিতা করলে সম্মানহানীর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা না৷ এরপর আজ এজলাসে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ রাখেন বিচারপতি৷ পরে রাজীব কুমারের আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করার রায় ঘোষণা করা হয়৷ হাইকোর্ট গ্রেপ্তারির উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় উচ্চ আদালতের৷ এরপরই তৎপরতা শুরু করে সিবিআই৷ জরুরি বৈঠক শেষে নোটিস হাতে রাজীবের বাড়িতে হাজির হয়ে যান সিবিআইয়ের কর্তারা৷
এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘রাজীব কুমারের সিটের সদস্য ছিলেন৷ তিনি তখন বিধাননগরের সিপি ছিলেন৷ সিনিয়র অফিসারের তাঁর কাছে হাজিরা দিয়েছেন৷ কেস ডায়েরি এমনটাই বলছে৷ তাই তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি৷ বারবার প্রশ্ন করে করা তদন্ত অংশ৷ যে ধারায় তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তার মানে গ্রেপ্তারি নয়৷ কিন্তু হাজিরা না দিলে সেটা গ্রেপ্তারির কারণ হতে পারে৷ তদন্ত সংস্থা যদি তাঁর তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে কাজ করে, তাহলে আদালতের কিছু বলার নেই৷ মামলাকারী বিশেষ সুবিধা চাইতে পারে৷ একজন দায়িত্বশীল অফিসারের উচিত তদন্তের সহযোগিতা করা৷ অপরাধ প্রমাণ হলে গ্রেপ্তার করা যেতে৷’’
বুধবার রাজীব কুমার মামলার শুনানি শেষ করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্রায় ২৩ দিনের মাথায় শুনানি পর্ব শেষ হয়৷ টানা ২৩ দিনের শুনানি পর্ব সিবিআইয়ের বেশির ভাগ সওয়াল-জবাব হয় রুদ্ধদ্বার এজলাসে৷ সিবিআইয়ের পাল্টা রাজীব কুমারের আইনজীবীরাও একাধিক যুক্তি দিয়েছে৷ উভয় পক্ষে সওয়াল জবাব শোনার পর আজ রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট রাজীব মামলার দীর্ঘ পর্বে বিচারপতি মধুমতী মিত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মামলা চলছে৷ এই সবের একটা শেষ হওয়া প্রয়োজন৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির কড়া অবস্থান ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে শুরু হয় জল্পনা৷