কলকাতা: বারাসত আদালতেও ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার৷ দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় দেওয়ার সময় আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, রাজীব কুমারের মামলার গুরুত্বপূর্ণ৷ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে এই মামলা বারাসত আদালত রায় দিতে পারবে না৷ এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীনে মামলা৷ তাই এখানে মামলার শুনানি সম্ভব নয়৷ ফলে, গোটা মামলাটি ফিরিয়ে দিয়েছে বারাসত আদালত৷
এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ‘‘রাজীব কুমার একজন সিনিয়র অফিসার৷ কিন্তু আইন ভঙ্গকারী৷ রাজীব কুমারকে আগাম জামিন দিলে ব্যাহত হবে তদন্ত৷’’ রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলেও দাবি সিবিআইয়ের৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আরও দাবি, ‘‘সারদার প্রধান কার্যালয় ছিল বিধাননগরের৷ সেই বিধাননগরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ তিনি একজন সিনিয়র অফিসার সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও আইন ভেঙেছেন৷ ফলে, রাজীব কুমারকে আগাম জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত৷’’ এর পাল্টা দেন রাজীবের আইজীবী৷ জানান, সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠানোর পর হঠাৎ কেন রাজীবকে গ্রেপ্তারিত তৎপরতা? প্রশ্ন তোলেন রাজীবের আইনজীবীরা৷
আজ, মঙ্গলবার সকালে রাজীব কুমারের আগাম জামিন মামলা ফিরিয়ে দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত৷ ‘‘মামলার আবেদন করুন জেলা দায়রা আদালতে৷’’ জানিয়ে দেয় সিবিআইয়ের আদালত৷ আদালতের সুপারিশ অনুযায়ী জেলা দায়রা আদালতে মামলা দায় হয়৷ সেই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ঘিরে তৈরি নয়া জল্পনা৷ ইতিমধ্যেই রাজীব কুমারের হদিশ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছে সিবিআই৷ রাজীবের খোঁজে নবান্ন থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদেরও চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই৷ সেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি৷ সেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত ৯ তারিখ থেকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন রাজীব কুমার৷ রাজ্যের প্রশাসনের তরফ এহেন জবাবের আরও তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই৷ এবার গোটা বিষয়টি আদালতের ওপর ঝুলে রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷