মন্ত্রী বাবুলকে উদ্ধারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন আচার্য তথা বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধানকার৷ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছ থেকে গোটা ঘটনা রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পর এবার মুখ্যসচিবকে ফোনে কথা রাজ্যপালের৷ বাবুলকে উদ্ধারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল৷ কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে চাওয়া হয়েছে রাজভবনে তরফে৷ রাজভবনের

মন্ত্রী বাবুলকে উদ্ধারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন আচার্য তথা বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধানকার৷ উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছ থেকে গোটা ঘটনা রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পর এবার মুখ্যসচিবকে ফোনে কথা রাজ্যপালের৷ বাবুলকে উদ্ধারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল৷

কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে চাওয়া হয়েছে রাজভবনে তরফে৷ রাজভবনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছেন উপাচার্য৷ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয় ক্যাম্পাসে আসবেন তা তিনি আগে থেকে তিনি জানতেন না৷ তার এমন কোন তথ্য জানা থাকলে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেন৷ আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর আক্রমণের ঘটনায় ক্ষোভ রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷ রাজভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন, সেই খবর কেন উপাচার্যের কাছে নেই? উপাচার্যের কাছে জানতে চান রাজ্যপাল৷ এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ তাতে জানানো হয়েছে, যেভাবে মন্ত্রীকে আটকে করে রাখা হয়েছে, তা আদতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রতিছবি৷

অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত বাবুল সুপ্রিয়কে কার্যত ক্যাম্পাস বন্দি করলেন বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা৷ পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলন ও ধস্তাধস্তির জেরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বাবুলকে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোতে দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা৷

বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাবুল সুপ্রিয় ক্যাম্পাসে এসে ‘দাদাগিরি’ করেছেন৷ বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা যাতে চাকরি না পান তার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বলেও তোলা হয় অভিযোগ৷ এমনকি উপাচার্যের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন তিনি৷ আর এরই প্রতিবাদে বাবুল সুপ্রিয়কে ক্ষমা চেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে বলেও দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা৷

জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বাবুল সুপ্রিয় ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন৷ এরপরই ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি পুলিশি সহায়তার দাবি করেন৷ উপাচার্য সাফ জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করবেন তবুও ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকবেন না৷ কারণ উপাচার্য মনে করেন, পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এভাবে কখনও পুলিশ ডেকে ক্যাম্পাসকে কলুষিত করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে৷

এরপরই এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ধস্তাধস্তির জেরে মাটিতে পড়ে যান উপাচার্য৷ গুরুতর জখম হন তিনি৷ তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ক্যাম্পাসের মধ্যেই পুরুষদের বিক্ষোভের জেরে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়৷

চুল টেনে, জামা ছিঁড়ে, লাঠি মেরে, ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে উপচার্যকে অসন্তোষ প্রকাশ বাবুলের৷ ক্যাম্পাসে ঢুকতে ও বেরোতে গিয়ে বাধা পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী আনিয়ে বাবুলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়৷ প্রবল বিক্ষোভে ব্যর্থ হয় সেই চেষ্টা৷

জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণের অনুষ্ঠানে আজ অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ অভিযোগ বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা৷ বিক্ষোভের মুখে পড়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে পাল্টা তর্ক জুড়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ এই নিয়ে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ বাবুলের চুলের চুল টেনে, জামা ছিঁড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ৷ তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে৷

অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা মাত্রই বাবুলকে ঘিরে কালো পতাকা দেখান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া৷ অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়৷ তাঁকে মাটিতে ফেলে হেনস্থা করা হয়৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চূড়ান্ত উত্তেজনা তৈরি হয়৷ পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও বাবুল জানান, তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চান৷ বাবুলের দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ তোলা হয় গো ব্যাক স্লোগান৷ বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ চুল টেনে, লাথি মেরে, জামা ছিঁড়ে তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷
গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে যান উপাচার্য৷ কথা বলার চেষ্টা করেন পড়ুয়াদের সঙ্গে৷ কিন্তু পরিস্থিতি না মেটায় উপাচার্যের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী৷ উপাচার্যের সঙ্গে বিতর্কেও জড়াল বাবুল৷ জানান, তাঁর উপস্থিতিতে কীভাবে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্তার ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর৷

যাদবপুর থেকে বাবুলকে বের হতে বাধা দেন পড়ুয়ারা৷ সেখানেও চলে বিক্ষোভ৷ দেখানো হয় কালো পতাকা৷ একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয় তাঁদের৷ ক্যাম্পাসে ঢুকাও বেরোনোর সময় দু’দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে ডাকা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পৌঁছে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়৷ পরে, উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান৷ সেখানেও ধস্তাধস্তি হয়৷ মাটিতে পড়ে যান উপাচার্য ও মন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =