বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর প্রথমবারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চায়েত দিবস উপলক্ষে জম্মুর সাম্বায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানেই তিনি উন্নয়নের বার্তা দেন। তিনি বলেন, বহু বছর পর জম্মু ও কাশ্মীর স্বাধীন হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামীণ এলাকায় উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাবা আম্বেদকর যদি আজ থাকতেন, অত্যন্ত গর্ব অনুভব করতেন।
তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে সস্তায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরে ৩০ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি মানুষের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। এতদিন জম্মুতে ২০০ বেশি আইন কার্যকর ছিল না। কিন্তু তা তুলে নেওয়ার পর রাজ্যের গরিব, মহিলারা উপকৃত হয়েছেন। লাভবান হয়েছেন দলিতরা।
দেশের প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নের জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারাও এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। অনেকেই বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও এতদিন তা মুখের কথাই রয়ে গিয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরে জঙ্গি সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। কাশ্মীরে নিরাপত্তরক্ষীদের নিশানা করে জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা চালায়। এমনকী জম্মুতে নিরাপত্তারক্ষীদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।