নয়াদিল্লি: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের গ্র্যাচুইটি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সোমবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানায়, পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য৷ বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ মনে করেন, অঙ্গলওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে৷ এই সংস্থা সরকারের অংশ হিসাবে কাজ করে৷ তার ভিত্তিতেই বেঞ্চ মনে করে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদের জন্য ১৯৭২ সালের পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট প্রযোজ্য৷
আরও পড়ুন- দেশে একদিনে মৃত প্রায় ১ হাজার ৪০০! নয়া ঢেউয়ের আশঙ্কা আরও তীব্র
প্রসঙ্গত, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়কদের জন্য ১৯৭২ সালের আইন প্রযোজ্য কিনা, তা জানতে চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ জেলা উন্নয়ন আধিকারিক এবং আরও দুই ব্যক্তি এই বিষয়ে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছিল৷ তার প্রেক্ষিতেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ৷ উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাত আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চও একই মন্তব্য করেছিল৷ কিন্তু সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে গুজরাত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ তাদের পর্যবেক্ষণ ছিল, ১৯৭২ সালের পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্টের ২ (ই) ধারা অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কা কোনও ভাবেই গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য নন৷ কারণ তাঁরা সরকারি কর্মী নন৷ এমনকী আইসিডিএস-কে শিল্প বলেও মান্যতা দেয়নি গুজরাট আদালত৷
তবে শীর্ষ আদালত মনে করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ পুষ্টিকর খাবার রান্না থেকে শিশুদের দেখভাল তাঁদের দায়িত্ব৷ গুজরাতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন ৭ হাজার ৮০০ টাকা৷ সহায়করা পান ৩ হাজার ৯৫০ টাকা৷ এখন সময় এসে গিয়েছে তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>