কলকাতা: টানটান উত্তেজনা। ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ বলে কথা। ২-০ থেকে পিছিয়ে ২-২ করে অবশেষে টাইব্রেকারে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল তারা। এদিন খেলায় নর্থইস্টের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে লাগছিল ইস্টবেঙ্গলকে। একটা সময়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। কিন্তু ৯০ মিনিটে ২-২ করে দুরন্ত কামব্যাক করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। শেষে টাইব্রেকারে ৫-৩ ফলে জিতে ডুরান্ড ফাইনালে চলে গেল তারা।
ম্যাচ শুরুর কিছু মিনিট পর থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের মধ্যে একের পর এক পাস খেলেও ফাইনাল থার্ডে ভালো ফল করতে পারছিল না তারা। বারবার মিসপাস হচ্ছিল। অন্যদিকে নর্থইস্টের প্লেয়াররা দুরন্ত গতি বজায় রেখে শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে দাবিয়ে রাখছিল। সেই প্রেক্ষিতে গোলও পেয়ে যায় তারা। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-০। দ্বিতীয়ার্ধেও লাল-হলুদ তেমন কিছুই করতে পারেনি উলটে আরও একটা গোল খেয়ে যায়। ২-০ থেকে ম্যাচ প্রায় শেষের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু ৭৭ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন নাওরেম মহেশ। এক্ষেত্রে অবশ্য নর্থইস্টের ডিফেন্ডারের ‘কৃতিত্ব’ আছে। তার পায়ে লেগেই বল ঢুকে যায় জালে। এর পর খেলায় ইনজুরি টাইমে দুরন্ত হেডে গোল করে খেলার সমতা ফেরান নন্দকুমার।
মনে রাখা দরকার, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দুই দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ জিতেছে। অর্থাৎ এবার দুই দলের কেউ যদি এই ট্রফি ছুঁতে পারে তাহলে তা আরও এক রেকর্ড হবে। পাশাপাশি পড়শি ক্লাবের থেকেও যে সে এগিয়ে যাবে তা বলা বাহুল্য। আজ ইস্টবেঙ্গল এক ধাপ এগিয়ে গেল ট্রফি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবারের খেলায় মোহনবাগান কী করে সেটাই দেখার।