রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিবৃতি পার্থর, তুঙ্গে রাজভবন-তৃণমূল সংঘাত!

কলকাতা: একদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই প্রথম উত্তরবঙ্গে মাটিতে পা রাখেন তিনি৷ পাহাড়ের প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে রাজভবনের তরফে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হলেও গড়হাজির তৃণমূল৷ বৈঠক এড়াল প্রশাসন৷ অগত্যা বিরোধী শিবিরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে কার্যত বাধ্য হলেন রাজ্যপাল৷ বৈঠকে প্রশাসন ও শাসকদের

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিবৃতি পার্থর, তুঙ্গে রাজভবন-তৃণমূল সংঘাত!

কলকাতা: একদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই প্রথম উত্তরবঙ্গে মাটিতে পা রাখেন তিনি৷ পাহাড়ের প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে রাজভবনের তরফে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হলেও গড়হাজির তৃণমূল৷ বৈঠক এড়াল প্রশাসন৷ অগত্যা বিরোধী শিবিরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে কার্যত বাধ্য হলেন রাজ্যপাল৷ বৈঠকে প্রশাসন ও শাসকদের কর্তাদের গড়হাজিরা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ রাজ্যপালের৷ আগামী দিনে জেলায় জেলায় এই বৈঠক হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল৷ পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৭’য় ফেসবুক পোস্ট করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘নতুন রাজ্যপাল যোগদানের ১৫ দিনের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করেছেন, তিনি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নন, তিনি রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য রাখাছেন৷ সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্য সরকার একটি নির্বাচিত সংস্থা৷ কেন্দ্রীয় সরকারও তাই৷ তবে গভর্নর মনোনীত পদ, নির্বাচিত নয়৷ সংবিধান অনুসারে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা ও রাজ্যপালের ভূমিকা চিহ্নিত করেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ একটি সুন্দর রাজ্য৷ রাজ্যপালকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের সুন্দর জায়গা পরিদর্শন করতে হবে৷ রাজ্য সরকারের আতিথেয়তা উপভোগ করতে হবে৷ এটি কাম্য৷ যেটি কাম্য নয় তা হল, সংবিধানিক অবস্থান৷ অযথা সক্রিয় হয়ে যাওয়া, সরকারি ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা৷ গভর্নরকে সাংবিধানিক একতিয়ারের অপব্যবহার করা উচিত নয়৷ প্রতিদিন রাজনৈতিক ছদ্মবেশ এড়ানো উচিত৷ আমাদের তৃণমূল সরকার জনগণের সরকার৷ কী করণীয় এবং কী করণীয় নয়, সে বিষয়ে সচেতন৷ অনুগ্রহ করে চুপ করুন!’

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিবৃতি পার্থর, তুঙ্গে রাজভবন-তৃণমূল সংঘাত!

এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জানান, আজ শিলিগুড়ি বৈঠকে অনুপস্থিত শাসক দলের প্রতিনিধিরা৷ বৈঠকে ছিলেন ছিলেন না গৌতম দেব৷ পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও ছিলেন না৷ ফলে, বিরোধী দলের নেতারা দিয়ে বৈঠক করতে হয়৷ তৃণমূলে কোনও প্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত না হওয়ায় কিছু হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷

রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি কোনও রুদ্ধদ্বার বৈঠক করিনি৷ আশা করেছিলাম প্রশাসনিক বৈঠকে সবাই থাকবেন৷ কিন্তু, তা না হওয়ায় বিরূপ মনোভাব আমার হয়নি৷ আমার শিলিগুড়িতে বৈঠকেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না৷ ছিলেন না জেলাশাসক৷ আমি আশা করেছিলাম, প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত থাকবেন৷ হয়তো পরের বৈঠকে তাঁরা আসবেন৷ হয়তো সবার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ আমি অতিসক্রিয় নয়৷ সক্রিয়৷ দার্জিলিং নিয়ে বিভিন্ন আবেদন খতিয়ে দেখা হবে৷ রাজভবনে যেকোন দল আসতে পারেন৷ আমি রং দেখে বিচার করি না৷ কীভাবে কাজ করব সেটা আমার সিদ্ধান্ত৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *