ইয়াবত্মাল: ধনসম্পদ এবং গুপ্তধনের লোভে নিজের যুবতী মেয়েকেই বলি দেওয়ার চেষ্টা বাবার, পুলিশের তৎপরতায় কোনওক্রমে বাঁচল প্রাণ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জেলায়। জানা যাচ্ছে, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবতীর বাবা, একজন তান্ত্রিকসহ মোট ৯ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে ইয়াভাতমালের বাবুলগাঁও তেহেসিলে। জানা যাচ্ছে ধৃত ওই ব্যক্তির দুই কন্যা সন্তান। সম্প্রতি তাঁকে ধনসম্পত্তি এবং গুপ্তধনের লোভ দেখান ধৃত ওই তান্ত্রিক। তিনি কোনওভাবে ওই ব্যক্তিকে তাঁর বড় মেয়ের বলি দেওয়ার জন্য রাজি করান। তবে এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, বলি দেওয়ার আগে ওই তরুণীর ওপর শারীরিক এবং যৌন অত্যাচারও চালানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন ইয়াভাতমাল জেলার পুলিশ সুপারেনটেন্ড দিলীপ ভুজবাল পাতিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির বড় মেয়ে পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি তাঁকে পুজোর নাম করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা, ধৃত ওই ব্যক্তি। এরপর গত ২৫ এপ্রিল রাতে শুরু হয় ওই বাড়িতে পূজাপাঠ এবং তন্ত্রমন্ত্রের কাজ। বাড়ির সামনে খোঁড়া হয় একটি বড় গর্ত এবং সেখানেই ওই যুবতীকে জীবিত কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনার আগেই কোনওমতে বিষয়টি জানতে পারেন আক্রান্ত ওই যুবতী এবং কোনওক্রমে তিনি তাঁর এক বন্ধুকে বিষয়টি জানাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে ওই বন্ধুই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে ওই যুবতীর প্রাণ বাঁচান বলে খবর।
জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় ওই যুবতীর বাবা ছাড়াও তাঁর পরিবারের আরও অনেকেই শামিল ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিক এবং তাঁর এক সহকারীকে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই আইপিসি ৩০৭ ধারায় ইচ্ছাকৃতভাবে খুনের চেষ্টা, ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক লিখিত অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ইয়াভাতমাল পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।