লখনউ: আগামী সপ্তাহেই খুশির ঈদ। আবার তার ঠিক আগে আগেই হিন্দুদের অক্ষয় তৃতীয়ার অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মসজিদের লাউডস্পিকারের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে চলতি মাসের শুরুর থেকেই গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যে ঘটেছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি এবং সংঘর্ষ। সেই সমস্ত ঘটনার কথা মাথায় রেখেই আগামী সপ্তাহে যখন দুই সম্প্রদায়ের মানুষই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাতবেন তখন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগেভাগে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে খুলে ফেলা হল লাউডস্পিকার। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ৪২৫৮ টি বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয়েছে এই অভিযান।
বুধবার সকালে এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইট বার্তা দেওয়া হয়। এরপরই রাজ্য পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল এই অভিযানের একাধিক ছবি পোস্ট করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরের মতো ঘটনা উত্তরপ্রদেশে যাতে না ঘটে তার জন্যই সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে মাইক খুলে নেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছে।
এর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তা আকাশ তোমার জানিয়েছেন, ‘আদালত এবং সরকারি নির্দেশিকা মেনে মাইকের ডেসিবেল বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আর কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এই কয়েকদিন মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। এক দিনেই প্রায় সাড়ে চার হাজার লাউডস্পিকার খুলে নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও চলবেই অভিযান।’
এর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় বাসিন্দারাও এই মাইক খোলার কাজে রাজ্য পুলিশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আসলে রাজ্যের কোন মানুষই চান না দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তরপ্রদেশের কোনও অঞ্চলে হোক। তাঁদের সকলেরই আশা আগামীদিনে যেন উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জায়গাতেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আর তাই তারা উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’