afghan girl
নয়াদিল্লি: এককথায় তিনি মোহময়ী৷ ভিন দেশের তরুণী হলেও বিরাট কোহলির অন্ধ অনুরাগী৷ তাঁর দেশ আফগানিস্তানও ক্রিকেট খেলে৷ চলতি বছর এশিয়া কাপেও অংশ নিয়েছিল৷ কিন্তু, ফাইনালে উঠতে পারেনি৷ বরং রবিবার রাতে মুখোমুখি হয় ভারত-শ্রীলঙ্কা৷ সেখানেই বিরাটদের হয়ে গলা ফাটালেন এই লাস্যময়ী৷ ফাইনালের আগের দিন বিরাটের সই করা ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে দেখা যায় তাঁকে৷ তাতে লেখা ছিল -বেস্ট উইসেস৷
ওয়াজমা আয়ুবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় তিনি৷ সুন্দরী ওয়াজমা আবার ক্রিকেটের ‘বিরাট’ ভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উঁকি দিলেই বোঝা যায়, ক্রিকেটের প্রতি তাঁর কতটা টান৷ তাঁর দেশ এবার এশিয়া কাপে ট্রফি জিততে না পারলেও, সেই দুঃখ তিনি ভুলেছেন টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্সে৷ তবে ওয়াজমা শুধু টিম ইন্ডিয়ারই বড় ভক্ত নন। তিনি বিরাট কোহলির ‘জাবড়া ফ্যান’৷
যদিও বাইশ গজের সফল কুশিলব বিরাটের ভক্ত অগণিত। সেই তালিকায় এবার জ্বলজ্বল করে উঠল এই বিদেশিনীর নাম। টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে নেটপাড়ায় ছবি পোস্ট করতেই উঠল ঝড়৷ চর্চার কেন্দ্রে চলে আসেন এই আফগান তরুণী। তাঁকে ভারতের যেই জার্সি পরে দেখা যায়, সেটি গত বছর এশিয়া কাপে পরেছিলেন বিরাট। জার্সিতে বিরাটের সইও রয়েছে। কোহলির সই করা নীল রঙের সেই জার্সি গায়ে চাপিয়েই ক্রিকেট জ্বরে কাবু আফগান তরুণী।
ভারতের জার্সি পরা ওই ছবি টুইট করে ওয়াজমা লিখেছেন, ‘‘যে জার্সি পরে আমার প্রিয় দল ভারতকে সমর্থন করছি, সেটি পরেই গত বছর এশিয়া কাপে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে খেলেছিলেন বিরাট কোহলি।’’ সেই সঙ্গেই ওয়াজমা জানান, বিরাটের সই করা আরও একটি জার্সি না পাওয়া পর্যন্ত এই জার্সিটি তিনি পাল্টাবেন না।
ওয়াজমা এতটাই সুন্দরী যে তাঁর থেকে চোখ ফেরানো দায়৷ আফগানিস্তানের মেয়ে হলেও, এখন থাকেন দুবাইতে৷ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার৷ ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ছয় লক্ষেরও বেশি। খোলা চুল। গায়ে জড়ানো বিরাটের সই করা টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে তাক লাগিয়েছেন ওয়াজমা। তাঁর এই লুকস-এ মজেছেন ক্রিকেট প্রেমীরা।
এর আগেও টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পরে ইনস্টাগ্রামে দেখা গিয়েছিল ওয়াজমাকে। তবে বিরাটের জার্সি পরেই তিনি যেন সুপারহিট৷ চলতি বছরে এশিয়া কাপে প্রথম থেকেই দুই দেশকে সমর্থন করেছেন আফগান তরুণী। ভারত এবং তাঁর নিজের দেশ আফগানিস্তান। নিজের দেশের প্রতি সকলেরই আলাদা আবেগ থাকে। সেটাই তো স্বাভাবিক। ওয়াজমাও ব্যতিক্রমী নন৷