ছতরপুর: জনমুখে একটি প্রচলিত কথা হল পেয়ার আন্ধা হোতা হে যার বাংলায় মানে দাঁড়ায় ভালোবাসা নাকি অন্ধ। সম্প্রতি এমনই এক নজিরবিহীন ভালোবাসার প্রমাণ পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ। জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের বাসিন্দা এক মহিলা সম্প্রতি তাঁর সাত সন্তান এবং স্বামীকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে। আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনা শুনলে স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু গন্ডগোল অন্য জায়গায়। জানা যাচ্ছে পলাতক এই মহিলার বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। এদিকে যে প্রেমিকের হাত ধরে তিনি পালিয়েছেন তাঁর বয়স মাত্র কুড়ি। সম্প্রতি এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা জেলায়। এদিকে সংসারের কর্ত্রীকে হারিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়েছেন পলাতক ওই মহিলার স্বামী। কোন কিছু কূলকিনারা না পেয়ে তিনি শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর বাহান্নর হরিমোহন এবং তাঁর স্ত্রী সঞ্জু সেনের দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবন। তাঁদের সাত সন্তান। এর মধ্যে আবার তিন মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এই সাত সন্তানের মা সঞ্জু প্রেমে পড়েন হরিমোহনের ফার্মে কাজ করা এক তরুণ মজুর মহেশ সেনের। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বেশ গভীর হয় তাঁদের সম্পর্ক। শেষে বছর কুড়ির ওই প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়ে যান সঞ্জু।
এদিকে স্ত্রীকে এমন ভাবে হারিয়ে রীতিমতো পাগল অবস্থা হরিমোহনের। এই ঘটনার পরপরই তিনি ছতরপুর জেলার চান্দেরনপুরওয়া পুলিশ স্টেশনে মহেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি মহেশের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন। হরিমোহনের অভিযোগ শোনার পরে প্রথমে পুলিশের চোখ কপালে উঠলেও পরে তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত এই যুগলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দিন কয়েক আগেই এই একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায় যেখানে ছয় সন্তানের মা এক মহিলা তাঁর তরুণ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। তবে সে ক্ষেত্রে ওই মহিলা ছিলেন বিধবা। জানা যায় স্বামীর মৃত্যুর পরপরই প্রতিবেশী এক তরুণের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং বাড়িতে থাকা টাকা পয়সা, বীমার কাগজপত্র নিয়ে তার সঙ্গেই পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। ঘটনা প্রসঙ্গে মহিলার ননদ জানিয়েছিলেন, মাত্র এক বছর আগে তাঁর দাদা জলের ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়ে মারা যান। কিন্তু তাঁর কদিন বাদেই তাঁর বৌদী পাশের বাড়ির ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর কয়েকদিন পরেই বীমা কোম্পানির কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু তার আগেভাগেই পাশের বাড়ির ঐ যুবকের সঙ্গে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে পালিয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির বিধবা স্ত্রী।