কোহিমা: নাগা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সালের ২৭ নভেম্বর তাঁকে খুন করা হয়েছিল মায়ানমারে। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য থেপশু ভেনুহের দেহ দেশে ফেরানো হল। পার্টির মতাদর্শের সঙ্গে তাঁর মতাদর্শের বিরোধ হয়। সেই কারণে থেপশুকে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ ৪৩ বছর নাগাল্যান্ডের সাধারণ মানুষ তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামী থেপশু ভেনুহেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেয়েছেন। নাগাল্যান্ডের ফেক জেলায় থেপশুর বাড়ির সামনে ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর পূর্বপুরুষদের যেখানে শেষক্রিয়া করা হয়েছে, সেখানেই থেপশুর অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়া করা হয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক চোতিশু সাজো জানিয়ছেন, মায়নমার থেকে থিপশু দেহ দেশে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আট সদস্য়ের একটি দল মায়ানমার থেকে দেহ নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
নাগা সম্প্রদায়ের চেকসাং গোষ্ঠীর মানুষ সকাল থেকেই থেপশুকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভিড় করতে থাকেন। ১৯২৮ সালে এএনসির ভাইস প্রেসিডেন্ট হন থিপশু। সেই সময় অনেকেই মনে করেছিলেন, সংগঠনের ফিজোর পরবর্তী যোগ্য উত্তরসূরী হবেন থিপশু। ১৯৭৫ সালে ভারতের সঙ্গে শিলং অ্যাকোর্ড স্বাক্ষরিত হয়। তারপরেই পরিস্থিতির দ্রুত বদল হয়। সেই সময় এনএনসির মধ্যে ভাঙন ধরতে শুরু করে। সেই সময় দলের আদর্শ নিয়ে তাঁর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। এই সংঘাতের জেরে থিপশুকে হত্যা করা হয়।