কলকাতা: মহাঅষ্টমীর উৎসবের আবহে ফের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর৷ এন্টালির ১৪ পল্লি উদয়ন সংঘের পুজো মণ্ডপে অষ্টমী পুজো দিতে গিয়ে ‘লক্ষণরেখা’ টেনে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি৷ সস্ত্রিক বাজান ঢাক৷
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানান, আইনের থেকে কেউ বড় হতে পারে না৷ সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে৷ সবাইকে লক্ষণ রেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত৷ লক্ষণ রেখা অতিক্রম করা ঠিক নয়৷ আমি নিজে লক্ষণ রেখা অতিক্রম করব না৷ এবং কেউ যদি লক্ষণ রেখা অতিক্রম করতে যায় তাঁকেও বলব, তিনিও যেন লক্ষণ রেখা না পেরন৷
রাজ্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা৷ লক্ষ্মণরেখা বলতে আদতে রাজ্যপাল ঠিক কি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন বা এই মন্তব্যে কাকে তিনি কটাক্ষ করতে চেয়েছেন, তা কার্যত উহ্য রাখেন রাজ্যপাল৷ উৎসবের আবহে রাজ্যপালের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন৷
অন্যদিকে, সম্প্রতি যাদবপুর কাণ্ডের পর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থে প্রয়োজন হলে বুকে বুলেট নেব, কিন্তু অন্যায় মেনে নিতে পারব না৷ রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, আপনাকে বুকে বুলেট বুকে নিতে হবে না৷ দয়া করে দেখবেন তিনি যেন কারও দিকে গুলি না চালান৷
রাজ্যপাল ও তৃণমূল মহাসচিবের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় জল্পনা৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার প্রসঙ্গে রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছিলেন, উপাচার্য, সহ-উপাচার্যদের বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে পুরনোদের সঙ্গে কথা বলুন৷ আমি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও বলব, তাঁদের একই কথা বলব৷ আমি মনে করি, শিক্ষার মান উন্নয়নে কীভাবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা যায়, তা জন্য আমি সক্রিয় ভূমিকা পালন করব৷ প্রয়োজনে বুকে বুলেট নিয়ে রুখে দাঁড়াব৷এর পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক৷ এর আগে যাদবপুর কাণ্ডের পর রাজ্যপাল শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সাফ জানিয়েছিলেন, আমি অতিসক্রিয় নয় সক্রিয়৷
