আগ্রা: যত দিন যাচ্ছে, দেশে ধর্ম নিয়ে উন্মাদনা যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একের পর এক হুঁশিয়ারি, পাল্টা হুমকি। প্রতিনিয়ত চাপা উত্তেজনা যেন বিরাজ করছে। সম্প্রীতি যেন অলৌকিক কোনও শব্দ। এই পরিস্থিতিতেই আগামী ৫ মে তাজমহলে শিবলঙ্গ প্রতিষ্ঠার হুমকি দিলেন এক সন্ন্যাসী। ওই দিন দেশের সমস্ত সন্ন্যাসীকে তাজমহলে আসার অনুরোধ করেছেন। ওই সন্ন্যাসীর মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার ছাবনি এলাকার জগৎগুরু পরমহংসাচর্য মহারাজ এই হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু আচমকা তিনি তাজমহলে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠার হুমকি দিলেন কেন? সম্প্রতি ওই সাধু তাজমহল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা তাজমহলের ভিতর প্রবেশ করতে বাধা দেন। জানা যায়, তাঁর গেরুয়া বসনের জন্য তাঁকে তাজমহলের নিরাপত্তরক্ষী প্রবেশে বাধা দেন।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অপমানিত বোধ করেন এই সন্ন্যাসী। ক্ষোভের চোটে তাজমহলে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠার হুমকি দিলেন। এই হুমকিতেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি বলেন, তাজমহলের আসল নাম তেজো মহালয়। তিনি দাবি করেছেন, এটা কোনও স্মৃতিসৌধ নয়। এটা আসলে শিবের মন্দির। মোগলরা এটাকে তাজমহল বলতে শুরু করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২৭ এপ্রিল। মাথায় তিলক কাটা, শরীরে গেরুয়া বসন ও হাতে ধর্মদণ্ড নিয়ে তিনি তাজমহলে প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাজমহলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের জওয়ানরা তাঁকে প্রবেশে বাধা দেন। সন্ন্যাসী দাবি করেছেন, তাঁর গেরুয়া বসনের জন্যই তাজমহলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষীরা সন্ন্যাসীকে ধর্মদণ্ড রেখে প্রবেশের অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে তাজমহলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত ঘটনার মধ্যে তাজমহলে সন্ন্যাসীর শিবলঙ্গ প্রতিষ্ঠার খবর কার্যত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।