মোহালি থেকে গ্রেফতার পাতিয়ালা হিংসার মাস্টারমাইন্ড

মোহালি থেকে গ্রেফতার পাতিয়ালা হিংসার মাস্টারমাইন্ড

চন্ডিগড়: গত শুক্রবারে সংঘর্ষ এবং হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল পাঞ্জাবের পাতিয়ালা। ওইদিন শিবসেনার খলিস্তান বিরোধী একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গন্ডগোল। শিবসেনা সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় শিখ সংগঠনের সদস্যদের হাতাহাতিতে মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পাতিয়ালা কালী মন্দির চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শেষ পর্যন্ত গুলি পর্যন্ত চালাতে হয় বলে খবর। এই ঘটনার ঠিক একদিন পরেই রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মোহালি থেকে গ্রেফতার করা হল পাতিয়ালা হিংসা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বরজিন্দর সিং পারওয়ানাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বরজিন্দরের আগে থেকেই বেশ কিছু পুলিশ রেকর্ড রয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাযর জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলা নতুন করে দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পাতিয়ালা রেঞ্জের আইজি মুখবিন্দর সিং ছনা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশ মোট ছয়টি এফআইআর দায়ের করেছে, যার মধ্যে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই ২৫ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই ঘটনার জন্য বরজিন্দরই প্রধান অভিযুক্ত। এছাড়াও হরিশ সিংলা, কুলদীপ সিং এবং দলজিৎ সিং নামের আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। অভিযুক্তদের ধরতে তৈরি হয়েছে ২০ টি গ্রুপ।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত বরজিন্দর পঞ্জাবের শিখ ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একজন। উস্কানিমূলক এবং বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর যথেষ্ট বদনাম রয়েছে। তিনি প্রায় সময়ই শেখ সন্ত্রাসবাদি জার্নাল সিং ভিন্দ্রআনওয়ালের  ভিডিও এবং বিবৃতি প্রকাশ করেন। এই সিং ভিন্দ্রানওয়ালকে শিখ চরমপন্থার প্রবর্তক বলে মনে করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলেও একাধিক উস্কানিমূলক এবং সন্ত্রাসী ক্রিয়াকলাপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে পোস্ট করতেন তিনি। এমনকি তাঁর হাতে ভিন্দ্রানওয়ালের একটি ট্যাটুও আছে বলে জানা গিয়েছে।

 কিন্তু এখন প্রশ্ন হল শুক্রবারের এই ঘটনার সঙ্গে ধৃত এই যুবকের কি সম্পর্ক? পুলিশ সূত্রে খবর, শিখ ফর জাস্টিস সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত পান্নুর প্রতিবাদে শুক্রবার পাতিয়ালায় খালিস্তান বিরোধী মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। এই তথ্যের পরই এর বিরোধিতা শুরু করে শিখ সংগঠনগুলি। এদিকে, শিবসেনা (হিন্দুস্তান) শিখ সংগঠনগুলির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে কার্ফু থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ সবই করতে হয় প্রশাসনকে। এই ঘটনায় আক্রান্ত হন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জেরে পাতিয়ালার আইজি রাকেশ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে সিনিয়র এসপি এবং সিটি এসপিকেও। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *