নয়াদিল্লি: ফের জল্পনার কেন্দ্রে প্রশান্ত কিশোর। তাঁর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নতুন করে জল্পনা দেখা দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত কোনদিকে মোড় নেবে, সেই নিয়ে তরজা চলছিল। প্রশান্ত কিশোরের নতুন একটি মন্তব্যে সেই তরজায় কার্যত অক্সিজেন জোগাল। সরাসরি রাজনীতিতে পিকে কে দেখা যেতে পারে। তাঁর ট্যুইট থেকে এই জল্পনাই করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল থেকেই প্রশান্ত কিশোরের ট্যুইট থেকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কী লিখেছেন ট্যুইটার? সোমবার প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট করে লেখেন, ‘গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণ অংশ নেওয়ার ও জনগণের পক্ষে নীতি গঠনের জন্য ১০ বছর ধরে খোঁজ করলাম। এখন রিয়েল মাস্টার হওয়ার সময় এসেছে। মানুষের সমস্যাগুলোকে আরও ভালো করে বুঝতে তাঁদের কাছে যাওয়ার সময় এসেছে। মানুষের জন্য সুশাসন আনার সময় এসেছে।’ এই ট্যুইটারের শেষে তিনি লিখেছেন, শুরুটা হবে বিহার থেকে।
এই ট্যুইট থেকে বিশেষজ্ঞ থেকে রাজনীতিবিদদের মধ্যে জল্পনা দেখা দিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, পিকে আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। বরং তিনি নতুন একটি দল তৈরির পরিকল্পনা করছেন। তিনি নীতিশ কুমারের জেডিউয়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। কিন্তু নীতিশ কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের চিড় ধরে। তারপর তিনি জেডিইউ ছেড়ে বেড়িয়ে যান। এরপর তাঁর একাধিক রাজনৈতিক দলে তাঁর যোগদানের সম্ভাবনা দেখা দিলেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দেয়। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। কংগ্রেসের পুনরুত্থানের একটি প্রেজেন্টেশন দেন। সেখানে তিনি দেখান, কংগ্রেস কী করে তাদের পুরনো গৌরবের দিন ফিরিয়ে আনতে পারে, সেই বিষয়ে ৬০০ স্লাইডের একটি প্রেজেন্টেশন দেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপরেই প্রশান্ত কিশোর ট্যুইটারে লেখেন, ‘কংগ্রেসে যোগদান ও ভোটের দায়িত্ব থেকে আমি সরে এসেছি।’ তবে সেক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বের সদিচ্ছাকেই দায়ী করেছিলেন।