ইন্দোর: ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’! না, এ কোনও সিনেমা নয়৷ বরং এক অদ্ভূত প্রেম কাহিনী৷ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ বছর ৪২-এর মৌর্যর বিয়ে নিয়ে শোরগোল নেটপাড়ায়৷
আরও পড়ুন- বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা মেটাতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত! বলছে রিপোর্ট
মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার বাসিন্দা মৌর্য মরি ফলিয়া গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চ৷ ১৫ বছর আগে গ্রামেরই এক তরুণীর প্রেমে পড়েন তিনি৷ একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা৷ যাকে বলে লিভ ইন৷ কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকতে থাকতেই আরও দুই মহিলার প্রেমে পড়েন মৌর্য৷ তাঁদের সঙ্গেও বাড়তে থাকে মৌর্যের ঘনিষ্ঠতা৷ এর পর এক ছাদের নীচে তিন প্রেমিকার সঙ্গেই লিভ-ইন শুরু করেন তিনি৷ তিন প্রেমিকার সঙ্গে ছয় সন্তানও রয়েছে তাঁর৷ মৌর্য ঠিক করেন এই ভাবে আর না৷ এবার সম্পর্কের স্বীকৃতি দিতে হবে৷ তাই একসঙ্গে তিন জনকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মৌর্যর বিয়ের মুহূর্ত৷ বিয়েতে আগত অতিথিরা তো বটেই, দারুণ আনন্দ করে তাঁদের ছয় সন্তানও৷ কিন্তু একসঙ্গে তিনজনকে কি এভাবে বিয়ে করা যায়? আসলে ভারতীয় সংবিধানে আদিবাসী সমাজের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং রীতিনীতিকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আদিবাসী সমাজে কোনও যুবক-যুবতী একে অপরকে পছন্দ করলে, তাদের একসঙ্গে থাকার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে৷ এর জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক অপরিার্য নয়৷ এছাড়াও, কেউ চাইলে একাধিক স্ত্রীর সঙ্গেও থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে সেই রীতিই প্রজোয্য হয়েছে৷ আদাবাসী সমাজের রীতি মেনেই একসঙ্গে তিনজনকে বিয়ে করেছেন মৌর্য।
আদিবাসী সমাজে আরও একটি নিয়ম রয়েছে৷ তাঁদের সমাজের প্রথা অনুযায়ী, যে কোনও শুভকাজে বসতে গেলে নারী ও পুরুষের বিবাহ আবশ্যক। তাই সম্প্রতি তিন প্রেমিকাকে রীতি মেনে বিয়ে করেন মৌর্য। তাঁর বিয়ের কার্ডে ছাপানো হয়েছিল তিন স্ত্রীর নামই৷ হ্যাঁ, ঠিক এমনই বিয়ের সাক্ষী থাকল ইন্দোর৷ তাঁদের বিয়ে নিয়ে আগ্রহের অন্ত নেই নেটনাগরিকদেরও৷ ভাইরাল তাঁদের প্রেম কাহিনী৷
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একই মণ্ডপে নানবাই, মেলা এবং সাক্রিকে বিয়ে করেন মৌর্য৷ উপজাতীয় প্রথা অনুযায়ী তিন দিন ধরে চলে তাঁদের বিের অনুষ্ঠান৷ বাজানো হয় ‘ঢোল’ এবং ‘মণ্ডল’৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>