যোধপুর: সোমবার রাতের পর সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজস্থানের যোধপুর। মঙ্গলবার যোধপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্য দিকে, রামনবমীতে মধ্যপ্রদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ইদের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার খারগোন প্রশাসন কারফিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইদের পাশাপাশি মঙ্গলবার হিন্দুদের অক্ষয় তৃতীয়া। দুই সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি বজায় রাখতে বাড়িতে উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যোধপুরে তিন দিনের পরশুরাম জয়ন্তী চলছে। সোমবার রাতে একটি ধর্মীয় পতাকাকে ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হয়। হিংসার আকার ধারণ করে। সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যোধপুরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সোমবার রাতে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। লাঠি চার্জও করা হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। ঘটনার জেরে চার পুলিশ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই শহর জুড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলেট। রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী ও রমজান পালনে দেশের পাঁচ রাজ্য থেকে একাধিক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন রাজস্থান।
অন্যদিকে, রামনবমীতে সংঘর্ষের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে কারফিউ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এদিন বাড়িতে নিজের মতো উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রামনবমীতে একের পর এক হিংসার ঘটনায় খারোগন প্রশাসন ২ মে ও ৩ মে সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কারফিউ জারি করা হয়।