নয়াদিল্লি: দিল্লি পুরসভার স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব৷ স্কুলে ঢুকে দুই ছাত্রীকে নগ্ন করার অভিযোগ উঠল ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয়, সকলের সামনে সে প্রস্রাব করে বলেও অভিযোগ৷ কিন্তু, অবাক করার বিষয় হল, ছাত্রীরা যখন এই বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানান, তখন তিনি ছাত্রীদের বলেন, ‘‘যা হয়েছে ভুলে যাও৷’’ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীতে৷ দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফে দিল্লি পুলিশের তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে৷ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি উঠেছে৷
আরও পড়ুন- আরও বাড়তে চলছে বাড়ি-গাড়ি ঋণের সুদ, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ এপ্রিল৷ সে দিন সকালের প্রার্থনার পর দিল্লি পুরসভার ওই স্কুলের ছাত্রীরা নিজেদের ক্লাসরুমে বসেছিল। পঠনপাঠন শুরুর আগেই আচমকাই একটি ক্লাসে ঢুকে পড়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। অভিযোগ, ক্লাসে ঢুকে ওই দুষ্কৃতী দু’জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। সকালের সামনে তাদের পোশাক টেনে খুলে দেয়৷ তাদের নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, এরপর ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে সকল পড়ুয়ার সামনে প্রস্রাব করে৷
ওই দুষ্কৃতী ক্লাসরুম থেকে বেরতেই প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় ছাত্রীরা৷ সবটা শোনার পর অবাক কাণ্ড৷ প্রিন্সিপাল পড়ুয়াদের বলেন, ‘‘যা হয়েছে ভুলে যাও৷’’ তাঁর সঙ্গে সুর মেলান বাকি শিক্ষকরাও৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল।
টুইট করে তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লির এমসিডি স্কুলে এক ব্যক্তি আচমকা ঢুকে পড়ে দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে দেয়। পরে পড়ুয়াদের সামনে প্রস্রাবও করে। মেয়েরা প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা বলেন, ‘ভুলে যাও’। আমি পুলিশের কাছে নোটিস ইস্যু করছি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক।”