মাদুরাই: সাধারণত কোনও তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে কোনও বুদ্ধিমান ও কর্মঠ কর্মচারী বেশিদিন যুক্ত থাকেন না। সেই কর্মচারীকে অনেক সংস্থাই বেশি বেতনে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু তামিলনাড়ুর এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা খুব বেশি দিনের পুরনো নয়। কিন্তু কর্মীরা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যান। এছাড়াও কর্মীরা এই সংস্থা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। আবার ফাঁকি নয়, নিজেদের সেরাটা দিয়েই কাজ করেন কর্মীরা। কীভাবে প্রতিযোগিতার বাজারে কর্মীরা একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছেন এই ছোট সংস্থার হয়ে, কী বলছেন সংস্থার আধিকারিক?
দক্ষিণের এই সংস্থার নাম শ্রী মুকাম্বিকা ইনফোসলিউশন। এই সংস্থার প্রায় ৭৫০ জন কর্মচারী রয়েছে। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ কর্মচারী পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে কাজ করছেন। এসএমআইয়ে যাত্রা ২০০৬ সালে তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। কিন্তু ছোট শহরে সঠিক কর্মী নিয়োগ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সংস্থার জন্য। এরপর সংস্থাটিকে মাদুরাই স্থানান্তরিত করা হয়। সমস্ত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা যখন চেন্নাইয়ে নিজেদের অফিস করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করত, সেই সময় মাদুরাইয়ে অফিসের জন্য ৩০ শতাংশ খরচ কম পড়ত।
মাদুরাইয়ের নতুন সংস্থা। তাই প্রথম দিকে কর্মী পেতে যথেষ্ট সমস্য়ায় পড়তে হয়েছিল। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এম পি সেলভাগনেশ বলেন, প্রথম ২০০ জনকে নিয়োগ করাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। খুব সাধারণ মানের কর্মচারীদের উৎসাহ দিতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। দেখা যায়, কর্মচারীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যান।
প্রথম থেকে সংস্থাটি বিবাহের পর বড় ধরনের ইনক্রিমেন্ট দিত। সংস্থাটি বছরে দুবার কর্মীদের বেতন বাড়াত। প্রতিবারে কর্মীদের বেতন ৬ থেকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। এম পি সেলভাগনেশ বলেন, অনেক কর্মী রয়েছেন, যাঁরা বহু বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে আমরা কখনই নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না, তাঁরা কখনই আমাদের ছেড়ে যাবে না। তবে সেই ধরনের কোনও সম্ভাবনা দেখলে, আমরা সত্ত্বর ব্যবস্থা নিই। তবে এই সংস্থায় আবার নিজের চাকরি টিকিয়ে রাখাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পারফরমেন্সের বিচারে বছরে ৪-৫ শতাংশ কর্মচারীকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।