‘সম্মান’রক্ষায় ২০ মিনিট ধরে কোপানো হল, ছটফট করে মরল নাগারাজু, ভিডিয়ো করলেন ওঁরা!

‘সম্মান’রক্ষায় ২০ মিনিট ধরে কোপানো হল, ছটফট করে মরল নাগারাজু, ভিডিয়ো করলেন ওঁরা!

396b0da5a587fa151c1a019fb387cf3c

বেঙ্গালুরু: একে অপরকে ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিল ওঁরা৷ যার চরম মাশুল গুণতে হল ওঁদের৷ আরও একবার লেখা হল ‘অনার কিলিং’-এর নামে এক রক্তাক্ত কাহিনী৷ অকালে প্রাণ হারাল ২৫-এর তরতাজা যুবকের৷ স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা সৈয়দ আশরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। 

আরও পড়ুন- বছরে দু’বার বেতন বৃদ্ধি, বিয়ে করলেই কর্মচারীদের মোটা উপহার দিচ্ছে এই সংস্থা

বুধবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদে দলিত যুবক নাগারাজুকে কুপিয়ে খুন করা হয়৷ অভিযোগ, সুলতানার বাড়ির লোকজনই এই কাজ করেছে৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সুলতানা জানান, বুধবার স্বামী নাগারাজুর সঙ্গে স্কুটিতে চেপে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ান দুই ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে এক জন তাঁরই দাদা সৈয়দ মবিন আহমেদ। অন্য জন দাদার সঙ্গী মহম্মদ মাসুদ আহমেদ। সুলতানা বলেন, ওঁরা দু’জনে জোড় করে নাগারাজুকে স্কুটি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনেন৷ এর পর লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন৷ এর পর ছুড়ি বার করে একের পর এক কোপ বসান৷ নাগারাজুকে বাঁচতে চিৎকার করে রাস্তার লোক ডাকার চেষ্টা করেছিলে তিনি৷ কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি৷ বরং এই ঘটনার ভিডিয়ো তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কেউ কেউ৷ জানা যায়, সরুরনগর তহশিলদারের কার্যালয়ের সামনে নাগারাজুকে প্রথমে ছুরি মারা হয়৷  তার পর চলে একের পর এক কোপ। মৃত্যু হয়েছে বোঝার পরেই চম্পট দেয় দুই আততায়ী।

সুলতানার আক্ষেপ, “আমার পরিবারের হাতে স্বামীর মৃত্যুতে আমি যতটা স্তম্ভিত, তার থেকেও অনেক বেশি স্তম্ভিত রাস্তায় লোকজনের আচরণে৷ তাঁদের মধ্যে একজনও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না! ১৫-২০ মিনিট ধরে হামলা চলল৷ রাস্তায় ছটফট করে ওঁকে মরতে দেখলেন তাঁরা। এই সমাজে আর ভাল মানুষ নেই।”  হায়দরাবাদের মারেদপল্লির বাসিন্দা বি নাগরাজু সেকেন্দরাবাদে একটি গাড়ির শোরুমে সেলসম্যানের কাজ করতেন। সুলতানার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ভিন্নজাতের দুই পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি৷ পরিবারের অমতেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করেন তাঁরা৷ 

পল্লবী বলেন,  ‘‘বিয়ের আগে থেকেই আমি ওঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম, বিপদ আসতে পারে৷ ও যেন অন্য কাউকে বিয়ে করে নেয়। আমি চাইনি, আমার জন্য ওর জীবনে বিপদ নেমে আসুক৷ আমার বাড়িতে বিষয়টা জানাজানি হতেই ওঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ও শুনল না।’’