কলকাতা: ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে ঠিক কী কী নথি প্রয়োজন হয়, তার তালিকা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভোটার তালিকায় গুরুত্ব দিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন ঠিক কোন কোন নথি দেখালে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে৷
তালিকা জানতে চেয়ে দিন মুখ্যমন্ত্রী, সৌরভ চক্রবর্তীকে বলতে বলেন৷ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে ঠিক কী কী নথি প্রয়োজন হবে? এরপর সরকারি আধিকারিককে একই প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব দেন ওই আধিকারিক৷ জানান, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে ভোটার কার্ডের নাম তোলা যায়৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী ওই আধিকারিককে থামিয়ে নিজেই বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে কী কী নথি প্রয়োজন? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভোটার তালিকায় নাম তুলতে কী কী নথি প্রয়োজন? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Gepostet von Aaj Bikel আজ বিকেল am Dienstag, 22. Oktober 2019
বলেন, ‘‘যেকোনও একটা, আধার কার্ড, প্যান কার্ড হোক, সামাজিক সুরক্ষার কার্ড হোক, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্কুলের সার্টিফিকেট হোক, বাড়ির ভাড়াটের হোক, বাড়িয়ালা হোক, দোকানদার হোক, রিক্সাওয়ালা হোক, টোটোআওলা হোক, গাড়িওয়ালা হোক, তাঁর কাছে যে কোনও একটা নথি থাকলেই হবে৷ আর এটা যদি হারিয়ে যায়, কারণ অনেক সময় দেখা যায় বন্যার জলে হারিয়ে গিয়েছে৷ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়৷ এরকম অনেক সময় পুড়ি যায়৷ হারিয়ে যায়৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডায়েরিও হারিয়ে গিয়েছিল৷ পরে খুঁজে পেয়েছিলেন৷ সেটা থেকে গীতাঞ্জলি তৈরি হয়েছিল৷ কাজেই মনে রাখবেন, যদি হারিয়ে বা পুড়ে গিয়ে থাকে, আপনারা থানায় গিয়ে ডায়েরি করুন৷ সেই ডাইরি নম্বর দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলুন৷’’
এরপর আইসি, বিডিও নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা ভোটার তালিকা তৈরি করার সময় জায়গায় জায়গায় বসবেন তো? ভোটার লিস্ট তৈরি করতে গেলে৷ ওই ডাইরির ওপর ভিত্তি করে করবেন৷ লোকজনকে বিভ্রন্ত করবেন না৷ জনগণনা হবে৷ যে সংস্থাকে দিয়ে জেলা শাসকরা কাজটা করিয়ে থাকে জনগণনা বা ভোটার লিস্টের জন্য, তাদের মধ্যে অনেক ডালমে অনেক কালা আছে৷ তারা অনেকে যায় না৷ আগের যা পদ্ধতি আছে তা বাতিল করে দিতে হবে৷ নতুন করে নিয়ম তৈরি করুন৷ নতুন ব্যবস্থাপনায় চালু করুন৷ আমার মনে হচ্ছে এটা ঠিক হচ্ছে না৷ আপনারা যাদের দিয়ে করান তারা কম্পিউটারের নাম তোলে ভুল৷ কম্পিউটার থেকে বাদ দেওয়া হয়৷ যাকে যে কাজটা দেবেন, সেই কাজটা দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে৷ যদি একটা নাম ইচ্ছাকৃতভাবে কেটে দেওয়া হয়, আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব৷ ব্যবস্থাটা হবে লোককে অপদস্থ করা৷ আর তার নাম কাটা হবে তার অপরাধ৷ এটা মাথায় রাখতে হবে৷’’