৭৯ দিন বন্দি করে সন্তানের সামনে লাগাতার ধর্ষণ, পুলিশের তৎপরতায় মুক্তি গৃহবধূর

৭৯ দিন বন্দি করে সন্তানের সামনে লাগাতার ধর্ষণ, পুলিশের তৎপরতায় মুক্তি গৃহবধূর

বালাসোর:  ৭৯ দিন ধরে আড়াই বছরের সন্তানের সঙ্গে এক গৃহবধূকে বন্দি করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর এক তান্ত্রিকের দিকে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ওই গৃহবধূ মু্ক্তি পায়। ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁকে তান্ত্রিকের হাতে তুলে দিয়েছন। 

শনিবার বালাসোর জেলার পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকেই পণের দাবিতে ওই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার হতে থাকে। সেই সময় এক তান্ত্রিকের আবির্ভাব হয়। সেই তান্ত্রিক বলেন, এই পণের সমস্যা তিনি সমাধান করে দেবেন। তবে কয়েকমাস গৃহবধূকে তাঁর সঙ্গে থাকতে হবে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ওই গৃহবধূ রাজি ছিল না। 

গৃহবধূ কোনওভাবেই তান্ত্রিকের কাছে যেতে চাননি। শাশুড়ি মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে দেন। জ্ঞান ফিরতে দেখেন তিনি তান্ত্রিকের ঘরে বন্দি। তাঁর শিশুও সঙ্গে ছিল। নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, প্রায় ৮০ দিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন। সন্তানের সামনেই তাঁকে বার বার ধর্ষণ করা হয়েছে। তান্ত্রিক সময়ে সময়ে খাবার দিয়ে যেত। গৃহবধূ জানিয়েছেন, তিনি মুক্তির কোনও আশা দেখতে পাচ্ছিলেন না। 

একদিন তান্ত্রিক মোবাইল ওই ঘরে ফেলে চলে যান। ওই গৃহবধূ সেই ফোন থেকে সঙ্গে সঙ্গে বাপের বাড়িতে ফোন করে সমস্ত কথা জানান। বাড়ির লোকজন পুলিশ নিয়ে তান্ত্রিকের আস্তানায় হাজির হয়। তবে বিপদ বুঝে তান্ত্রিক পালায়। পুলিশ গৃহবধূ ও তাঁর সন্তানকে উদ্ধার করেছে। শ্বশুরবাড়ির স্বামী, দেওর, শাশুড়ি সহ তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত বালাসোর পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে জানা গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =